Apan Desh | আপন দেশ

হামাসের সুড়ঙ্গে ৩ জিম্মির মরদেহ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ১০:৫৬, ১৮ মে ২০২৪

হামাসের সুড়ঙ্গে ৩ জিম্মির মরদেহ

ছবি : সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলের জাবালিয়া থেকে তিন জিম্মির মরদেহ উদ্ধার করেছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। হামাসের একটি সুড়ঙ্গে অভিযান চালিয়ে মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির স্থানীয় সংবাদমাধ্যম।

শনিবার (১৮ মে) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, আইডিএফ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, উদ্ধারকৃতরা হলেন শানি লোক, অমিত বুসকিলা এবং ইজহাক গেলেরেন্তার। এ তিনজনকে গত ৭ অক্টোবর নোভা মিউজিক ফ্যাস্টিভালে হত্যা করা হয়েছিল বলে মনে করা হচ্ছে। পরে তাদের মরদেহ গাজায় নিয়ে যাওয়া হয়।

ইসরায়েলের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, তাদের দক্ষিণ ইসরায়েলে নোভা উৎসবে হত্যা করা হয়েছিল। ৭ অক্টোবর ওই উৎসবে যোগ দেওয়া ৩৬০ জনের বেশি মানুষ হামাসের হামলায় নিহত হন।

ইসরায়েলে হামাসের ওই হামলায় প্রায় এক হাজার ২০০ মানুষ নিহত হন। এ ছাড়া দেশটি থেকে ২৫২ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যান হামাস সদস্যরা। তাদের মধ্যে ১০৫ জনকে গত নভেম্বরে সাত দিনের যুদ্ধবিরতির সময় মুক্তি দেয়া হয়েছিল।

এদিকে জিম্মিদের মরদেহ উদ্ধারের পর প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ‘প্রতিরক্ষা বাহিনীর তিনজন জিম্মির মরদেহ উদ্ধারের খবরে আমি মর্মাহত। আমার স্ত্রী সারা এবং আমি তাদের পবিরারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। আমরা আমাদের সব জিম্মিকে ফেরাব-জীবিত অথবা মৃত। আমি আমাদের সাহসী সেনাদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। যারা আমাদের ছেলে ও মেয়েদের বাড়িতে ফিরিয়ে এনেছে।’

অন্যদিকে হামাসের হাতে এখনো প্রায় ১২৫ জন জিম্মি রয়েছেন। তবে তাদের মধ্যে কতজন জীবিত আছেন, তা নিশ্চিত নয়। এই জিম্মিদের দেশে ফেরাতে ইসরায়েলে নিয়মিত বিক্ষোভ করছেন দেশটির নাগরিকেরা।

আরও পড়ুন <> ইসরায়েলকে সতর্ক করে ১৩ দেশের চিঠি

এদিকে, গাজা উপত্যকার প্রায় সব জায়গায় ইসরায়েলের বর্বর সেনাদের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী সংগঠন হামাসের যোদ্ধাদের তুমুল লড়াই চলছে।

মিশরের সীমান্তবর্তী প্রচণ্ড ঘনবসতিপূর্ণ রাফাহ শহরে ইসরায়েল স্থল আগ্রাসন জোরদারের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করার পর গাজা জুড়ে সংঘর্ষ মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, শুক্রবার রাতভর জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরের চারপাশে ভয়াবহ লড়াই হয়েছে। এ সময় ইসরায়েলি বাহিনী হেলিকপ্টার থেকে ব্যাপকভাবে হামলা চালায়। এর পাশাপাশি ইসরায়েলি গোয়েন্দা বাহিনী কামাল আদওয়ান হাসপাতালের কাছের কয়েকটি বাড়িতে গোলাবর্ষণ করে।

ইসরায়েলের যুদ্ধমন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট বলেছেন, মিশর সীমান্তবর্তী রাফাহ শহরে বাড়তি সেনা পাঠানো হচ্ছে এবং তারা সেখানে আগ্রাসন জোরদার করবে। 

তবে ইসরাইলের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ যুদ্ধে গাজায় হামাসের সঙ্গী হয়েছে ইসলামিক জিহাদর কমান্ডোরা। সেই সঙ্গে আরও ক্ষেপেছে লেবাননভিক্তিক সামরিক গোষ্ঠি- হিজবুল্লাহ। ফিলিস্তিনি ভাই-বোনদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় ইসরাইলকে গাজা ছাড়া করতে প্রতিদিনই ভয়ঙ্কর সব হামলা চালাচ্ছে হাসান নাসরুল্লাহর শিষ্যরা।

এরই প্রেক্ষিতে ইসরায়েলি অভিযানের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনিরা লড়াই চালিয়ে যাবে বলে ঘোষণা দিয়েছে দেশটির সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস।

সর্বশেষ গাজার দক্ষিণের শহর রাফাহে স্থল আক্রমণ বন্ধ করতে ১৩টি দেশ চিঠির মাধ্যমে ইসরায়েলকে সতর্ক করেছে। এ ছাড়া অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে অবাধ মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর অনুমতি দিতেও ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে সেই চিঠিতে।

যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া জি-৭ দেশগুলোর অন্য সব সদস্য দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা চার পৃষ্ঠার ওই চিঠিতে স্বাক্ষর করেন এবং চিঠিটি গত বুধবার (১৬ মে) ইসরায়েলি মন্ত্রিসভায় পাঠানো হয়।

শুক্রবার (১৭ মে) রাতে ইরানের আধা-সরকারি সংবাদ সংস্থা মেহের নিউজ এজেন্সির এক প্রতিবেদনের এ তথ্য জানা গেছে।

আপন দেশ/এমআর

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়