Apan Desh | আপন দেশ

আইসিজের রায় মানা বাধ্যতামূলক: গুতেরেস

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৪:৩৯, ২৫ মে ২০২৪

আইসিজের রায় মানা বাধ্যতামূলক: গুতেরেস

ফাইল ছবি

‘আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের (আইসিজে) রায় মানার বাধ্যতাবাধকতা রয়েছে।’ এ কথা বলেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। শুক্রবার (২৪ মে) রাফাহতে হামলা বন্ধ করতে ইসরায়েলেকে আইসিজের নির্দেশ দেয়ার পর গুতেরেস এমন মন্তব্য করলেন।

তুরস্কের বার্তা সংস্থা আনাদোলু জানিয়েছে, গাজা ইস্যুতে আইসিজের রায় সকল পক্ষ মেনে চলবে বলে আশাবাদ ব্যাক্ত করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের রায় মানা বাধ্যতামূলক। আমার বিশ্বাস, সকল পক্ষই এ রায় মেনে চলবেন।

রাফাহে ইসরায়েলের হামলা বন্ধের দাবি নিয়ে আইসিজের দারস্থ হয় দক্ষিণ আফ্রিকা। দেশটি দাবি করে, গাজায় গণহত্যা চালাচ্ছে ইসরায়েল। এ কারণে সেখানে হামলা বন্ধ করতে হবে।

আরও পড়ুন>> রাফায় ইসরায়েলি হামলা বন্ধের নির্দেশ আইসিজের

গতকাল শুক্রবার ফিলিস্তিনের রাফাহ অঞ্চলে সামরিক অভিযান বন্ধ করতে ইসরায়েলকে নির্দেশ দিয়ে ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসের প্রেসিডেন্ট নওয়াফ সালাম। তিনি বলেন, ‘ইসরায়েলকে অবিলম্বে রাফাহে সামরিক অভিযান বন্ধ করতে হবে। এ অভিযান রাফাহর বাসিন্দাদের স্বাভাবিক জীবনযাপন ব্যাহত করবে। একইসঙ্গে তাদের মৃত্যুও ডেকে আনতে পারে।’

নওয়াফ সালাম আরও বলেন, গত মার্চে আইসিজের শেষ আদেশের পর রাফাহতে মানবিক পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। রাফাহর পরিস্থিতি এখন ‘‘বিপর্যয়কর’’। 

গাজার বেসামরিক মানুষদের নিরাপত্তায় ইসরায়েল যে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে, তা যথেষ্ট কিনা, এ ব্যাপারে আইসিজে নিশ্চিত নয় বলে সংশয় প্রকাশ করেন নওয়াফ সালাম। তিনি বলেন, ‘রাফাহতে যারা বাস্তুচ্যুত হয়েছে, তাদের ঝুঁকি কমানোর কোনও ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। ফলে সেখানে অব্যাহত অভিযানে সাধারণ মানুষ আরও বেশি ঝুঁকির মুখোমুখি হচ্ছে।’

আরও পড়ুন>> জাতিসংঘ আদালতের রায় প্রত্যাখ্যান ইসরায়েলের

রাফাহতে অভিযান বন্ধের নির্দেশ দেয়ার পাশাপাশি আইসিজের এ আদেশ বাস্তবায়নের অগ্রগতি সম্পর্কে ইসরায়েলকে এক মাসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে মানবিক সহায়তা প্রবেশের জন্য ইসরায়েলকে রাফাহ সীমান্ত ক্রসিং খুলে দেয়ার নির্দেশও দিয়েছেন আন্তর্জাতিক বিচার আদালত।

গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের বিভিন্ন অবৈধ বসতিতে হামলা চালান হামাসের যোদ্ধারা। সে সময় গাজার সীমান্তের চলছিল নোভা মিউজিক ফেস্টিভাল। হামাসের হামলায় ওই ফেস্টিভালে ৩৫০ জন প্রাণ হারান। ওইদিন হামাসের হামলায় সবমিলিয়ে ১ হাজার ২০০ ইসরায়েলি ও অন্যান্য দেশের নাগরিকরা নিহত হন।

পরে হামাসের হামলার পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে গাজায় হামলা শুরু করে ইসরায়েল। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত ৩৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি এ হামলায় নিহত হয়েছে, যাদের এক-তৃতীয়াংশই শিশু।

আপন দেশ/এসএমএ

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়