ছবি: সংগৃহীত
তাপদাহে পুড়ছে ভারত। দেশটির কোথাও ৪৫ আবার কোথাও ৫০ ডিগ্রি তাপমাত্রা। কমছে না তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে তাপপ্রবাহ। দুদিন আগে রাজধানীতে তাপমাত্রা ছিল ৫২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দেশটির ইতিহাসে এটাই সর্বোচ্চ তাপদাহ। চলতি মৌসুমের এ গরম এবং তাপপ্রবাহের জেরে এখনও পর্যন্ত ৫৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার (৩১ মে) স্থানীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
ভারতের আবহাওয়া অধিদফতর (আইএমডি) জানিয়েছে, উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা, চণ্ডীগড় এবং দিল্লির ওপর দিয়ে ধুলোঝড় বইতে পারে। উত্তরপ্রদেশে ৩১ মে থেকে ১ জুন ধুলোঝড়ের পূর্বাভাস রয়েছে। হরিয়ানা, চণ্ডীগড় এবং দিল্লিতে ৩১ মে ধুলোঝড়ের সম্ভাবনা রয়েছে।
আইএমডি সূত্র জানায়, ৩১ মে থেকে ২ জুনের মধ্যে উত্তর-পশ্চিম ভারতে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা বৃষ্টি হতে পারে। বৃহস্পতিবার দিল্লির সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৫.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। যা স্বাভাবিকের থেকে ৫.২ ডিগ্রি বেশি। সেসঙ্গে তীব্র পানি-সংকটে ভুগছে রাজধানী। পঞ্জাব, হরিয়ানা, চণ্ডীগড়, দিল্লি, রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, ঝাড়খণ্ড এবং ওড়িশার বিভিন্ন জায়গায় তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে আগামী ৪৮ ঘণ্টায়।
শুধু দিল্লি নয়, পূর্ব এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের মানুষ গরমে অতিষ্ঠ। কোথাও কোথাও তাপমাত্রা ৪৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছে গেছে। তবে বুধবারই সবচেয়ে বেশি গরম পড়েছিল দিল্লিতে। যা দেশের সর্বকালের সর্বোচ্চ বলে মনে করা হচ্ছে। দেশে এর আগে এত গরম কখনও রেকর্ড করা হয়নি।
তীব্র গরমে হিট স্ট্রোকে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে বিহারে। বাংলার প্রতিবেশী রাজ্যে গরমে মৃত্যু হয়েছে ৩২ জনের। ওড়িশায় ১০ জন, ঝাড়খণ্ড এবং রাজস্থানে পাঁচ জন করে মৃত্যু হয়েছে। উত্তরপ্রদেশের সুলতানপুরে একজনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। এর আগে, দিল্লিতে হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছিল বিহারের এক বাসিন্দার। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তার জ্বর হয়েছিল। শরীরের তাপমাত্রা পৌঁছেছিল ১০৭ ডিগ্রি ফারেনহাইটে, যা স্বাভাবিকের থেকে ১০ ডিগ্রি বেশি।
আপন দেশ/এবি
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।