প্রতীকী ছবি
আগামী ৪ জুন নির্ধারিত হবে দিল্লির মসনদে কে বসছে। কে হবে লোক কল্যাণ মার্গের আগামী পাঁচ বছরের বাসিন্দা? এসব উত্তরের জন্য অপেক্ষা করতে হবে আরও কয়েকটি দিন।
এবারের নির্বাচন ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী এবং ক্ষমতাসীন বিজেপির শীর্ষ নেতা নরেন্দ্র মোদির সামনে টানা তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সুযোগ এনে দিয়েছে, যা স্বাধীন ভারতের গত ৭৭ বছরের ইতিহাসে বিরল। মোদি নিজেও এ ব্যাপারে বেশ ভালোভাবেই ওয়াকিবহাল।
গত প্রায় দেড় মাসে ভারতজুড়ে যত প্রচার-প্রচারণাসভা করেছেন মোদি, প্রায় প্রত্যেকটিতেই জনগণকে ভোটকেন্দ্রে এসে ভোট দেয়ার উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। তবে বুথ ফেরত সমীক্ষায় ভিন্ন ভিন্ন তথ্য প্রকাশিত হলেও এবারের নির্বাচন নরেন্দ্র মোদির জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।
নির্বাচনের শুরুতে মোদির এনডিএ জোট ৪০০ আসন পাওয়ার যে টার্গেট বেঁধে দিয়েছে, ফলাফল বেরোনোর আগে তা অনেকটাই ফিকে হয়ে যাচ্ছে বলছে ভোট কৌশলীরা। শুধুমাত্র ভোটারদের কাছে টানতে মোদির এ রাজনৈতিক স্ট্যান্ড বলে ভাবছে অনেক। বিরোধীদের নিশ্চিহ্ন করতে মোদির এ ম্যাজিক অনেকটা ফ্যাকাসে হয়ে গেছে।
চতুর্থ দফা ভোট দান শেষ হওয়ার পরে নরেন্দ্র মোদির জোট এখন ম্যাজিক ফিগার ২৭২ অতিক্রম করতে পারবে কিনা, সে আশঙ্কা দেখছেন বিশ্লেষকরা। তবে এটা ঠিক মোদির জয়রথ এবার আগের মতন মসৃণ হবে না।
ভারতের অনেক রাজনীতি বিশ্লেষকের মতে, এবারের নির্বাচনে ঘুরে দাঁড়ানোর বেশ ভালো সম্ভাবনা রয়েছে কংগ্রেসের; আর এ সম্ভাবনার মূলে রয়েছে কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন রাজনৈতিক জোট ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ইনক্লুসিভ অ্যালায়েন্স (ইনডিয়া)। ২০২৩ সালের জুলাই মাসে গঠিত এ জোটে রয়েছে বিজেপিবিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দল। এসব দলের মধ্যে কয়েকটি দল বিভিন্ন রাজ্যের রাজ্য সরকারে ক্ষমতাসীনও রয়েছে।
ফলে বিগত দুই নির্বাচনের তুলনায় এবারের লোকসভা নির্বাচন ছিল অনেক বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ।
ভারতের রাজনীতি বিশ্লেষকদের মতে, এবারের নির্বাচনে ইনডিয়া জোটের জয়ের সম্ভাবনা রয়েছে, তবে কম; আর বিজেপি যদি নির্বাচনে জেতে, সেক্ষেত্রে গত দুই নির্বাচনের তুলনায় কম সংখ্যক আসন পাবে দলটি।
ইনডিয়া জোটের শীর্ষ নেতা রাহুল গান্ধী মনেপ্রাণে নরেন্দ্র মোদির শোচনীয় পরাজয় চাইছেন। অন্যদিকে এনডিএ জোটের শীর্ষ নেতা নরেন্দ্র মোদি ব্যাপকভাবে আশা করছেন—নির্বাচনে ইনডিয়া জোটের ভরাডুবি ঘটবে এবং সেই ভরাডুবির দায় মাথায় নিয়ে রাজনীতি থেকে বিদায় নেবেন রাহুল।
তবে নির্বাচনে কে জয়ী হবে তা জানার জন্য অপেক্ষা করতে হবে আগামী ৪ জুন পর্যন্ত। কারণ ওই দিনই ফলাফল ঘোষণা করবে ভারতের নির্বাচন কমিশন। তার আগে অবশ্য সংবাদমাধ্যম ও বেসরকারি পর্যবেক্ষণ সংস্থাগুলো আনুমানিক ফলাফল জানাবে; কিন্তু ভারতের জনগণ আনুমানিক ফলাফলের ওপর তেমন ভরসা করেন না। কারণ অনেক ক্ষেত্রেই দেখা গেছে, আনুমানিক ফলাফলের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত ফলাফলের কোনো মিল নেই।
আপন দেশ/এসএমএ
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।