ফাইল ছবি
ইরানের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। শুক্রবার (৩১ মে) ইরানের মনুষ্যবিহীন আকাশযান বা ইউএভি প্রোগ্রামের ওপর এ নিষেধাজ্ঞা দেয় মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ।
ইরানের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ইউক্রেন আক্রমণে রাশিয়াকে প্রাণঘাতী ইউএভি (ড্রোন) সরবরাহ করছে তেহরান।
মার্কিন রাজস্ব বিভাগের বৈদেশিক সম্পদ নিয়ন্ত্রণ দফতর (ওএফএসি) জানায়, তারা একজন ইরানি এভিয়েশন নির্বাহী কর্মকর্তা এবং পূর্ব-আরোপিত নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা রায়ান রোশদ আফজার কোম্পানির সঙ্গে যুক্ত চারটি বাণিজ্যিক সংস্থাকে লক্ষ্যবস্তু করেছে। যারা ইউএভি প্রোগ্রামের জন্য গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশ সংগ্রহ করে।
লক্ষ্যবস্তু হিসেবে পরিণত এ নির্বাহী কর্মকর্তা হলেন ইরানের এভিয়েশন ইন্ডাস্ট্রিজ অর্গানাইজেশন (আইএআইও)-এর প্রধান আফশিন খাজেহ ফরদ। তিনি তেহরান থেকে কাজ পরিচালনা করেন।
ওএফএসি বিভাগটি জানায়, খাজেহ ফরদ ইউএভি এবং ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির জন্য আইএআইও-এর কার্য প্রচেষ্টার তত্ত্বাবধান করেন। তিনি ইরানের ইউএভি কর্মসূচির উদ্ভাবন প্রক্রিয়া এবং বিদেশি সরবরাহকারীদের ওপর নির্ভরতা হ্রাসের প্রচেষ্টা উন্নীত করেন।
শুক্রবারের নিষেধাজ্ঞার অর্থ খাজেহ ফরদ বা যুক্তরাষ্ট্র বা সেখান থেকে নিয়ন্ত্রিত চারটি সংস্থা সম্পর্কিত সমস্ত সম্পত্তি এবং সম্পত্তির সুদ জব্দ করা হয়েছে।
ইরান ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনের আক্রমণের সময় রাশিয়াকে হাজার হাজার শাহেদ কামিকাজে ড্রোন সরবরাহ করেছে। সেগুলো ইউক্রেনের বিমান প্রতিরক্ষাকে নিঃশেষ করতে এবং ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামোকে লক্ষ্য করে ধ্বংস করতে ব্যবহার করা হয়েছে।
ট্রেজারি আন্ডারসেক্রেটারি ব্রায়ান ই. নেলসন একটি বিবৃতিতে বলেন, ‘যারা ইরানের ইউএভি কর্মসূচির জন্য প্রয়োজনীয় উপাদানগুলো সংগ্রহ করতে চায় এবং বিশ্বজুড়ে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টিকারী গোষ্ঠীদের জন্য এ অস্ত্রগুলোর চালান সক্ষম করতে চায়, তাদের ওপর এর মূল্য আরোপ করা অব্যাহত রাখবে।’
ইউরোপীয় ইউনিয়নও (ইইউ) শুক্রবার ঘোষণা করে যে, তারা ইরানের ড্রোন শিল্পকে লক্ষ্যবস্তু করছে।
সূত্র: ভয়েস অব আমেরিকা
আপন দেশ/এসএমএ
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।