ছবি : সংগৃহীত
ভারতের জাতীয় নির্বাচন মানে উৎসবমুখর এক পরিবেশ। সংঘাত আর বিদ্বেষের আনাগোনা থাকলেও নির্বাচনকে ঘিরে উত্তেজনার পারদ থাকে তুঙ্গে। কে হবেন আগামী পাঁচ বছরে ভারতীয়দের জানমালের হেফাজতকারী, তা নিয়ে চলে নানান জল্পনা।
গত ১৯ এপ্রিল নির্বাচন শুরু হওয়ার পর থেকে সবার ধারণা ছিল, মুসলিম প্রার্থীদের অংশগ্রহণের সংখ্যা হ্রাস পাবে। নরেন্দ্র মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে ভারতীয় মুসলিম সংখ্যালঘুদের ওপর হিংসা ও বিদ্বেষ বেড়ে গেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও তার বক্তব্যে হরহামেশা ভারতকে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের স্থান হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। এরপর থেকে বিভিন্ন স্থানে সংখ্যালঘু মুসলিম জনগোষ্ঠীর ওপর নজিরবিহীন হামলার ঘটনাও ঘটেছে।
২০১৯ সালের ভারতের লোকসভা নির্বাচনে সারা ভারতজুড়ে মুসলিম প্রার্থী ছিল ১১৫ জন। সে জায়গায় এই বছরের জাতীয় নির্বাচনে তা কমে হয়েছে ৭৮ জন। গতকাল মঙ্গলবার (৪ জুন) ঘোষণা করা হয় ভারতের জাতীয় নির্বাচনের ফলাফল। ভারতীয় নির্বাচন কমিশনের হিসাব অনুসারে, ৭৮ জন মুসলিম প্রার্থীর মধ্যে ১৫ জন জয় লাভ করেছেন। খবর এনডিটিভির।
বিজয়ীদের মধ্যে রয়েছেন ভারতীয় জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠান, যিনি পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে বহরমপুর আসন থেকে জয়লাভ করেছেন। এ ছাড়া লাদাখ, জম্মু-কাশ্মীর ও উত্তর প্রদেশ থেকে ইমরান মাসুদ, ইকরা চৌধুরী, আফজাল আনসারী, আসাদউদ্দিন ওয়াইসির মতো মুসলিম প্রার্থীরা জয় নিশ্চিত করেছেন।
অন্যদিকে, বিজেপির ১৯৫ জন প্রার্থীর মধ্যে একমাত্র মুসলিম প্রার্থী ছিলেন আবদুল সালাম। কেরালার মাল্লাপুরমের প্রার্থী আবদুল সালাম অবশ্য জয়লাভ করতে পারেননি।
ভারতের জাতীয় নির্বাচনে আবারও সরকার গঠনের পথে বিজেপি। তবে আগেরবারের তুলনায় বিজেপির জন্য সরকার গঠনের পথটা এবার সহজ নয়। একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ার ফলে তাদের গড়তে হবে জোট সরকার। বিরোধী দল শক্ত অবস্থানে থাকার ফলে বিজেপির জন্য কাজ চালিয়ে যাওয়া সহজ হবে না। নির্বাচিত মুসলিম সদস্যরা লোকসভায় সংখ্যালঘুদের হয়ে আওয়াজ তুলবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আপন দেশ/এইউ
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।