ছবি: সংগৃহীত
বিশ্বে গত ১৩ বছরে ভয়াবহ শারীরিক ও মানসিক শাস্তির শিকার হয়েছে ৪০ কোটি শিশু। ২০১০ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত এসব শিশু বাড়িতে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এদের অধিকাংশের বয়স সর্বোচ্চ পাঁচ বছর। জাতিসংঘের বৈশ্বিক শিশু নিরাপত্তা ও অধিকারবিষয়ক অঙ্গ সংস্থা ইউনিসেফ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, এ ৪০ কোটি শিশুর মধ্যে একাধিকবার শারীরিক শাস্তি বা প্রহারের শিকার হয়েছে প্রায় ৩৩ কোটি শিশু, বাকিরা মানসিক শাস্তির। এ মুহূর্তে বিশ্বের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৬০ শতাংশের বয়স সর্বোচ্চ পাঁচ বছর। বর্তমানে বিশ্বজুড়ে প্রায় ৫০ কোটি শিশু যেকোন সময় প্রহারের শিকার হওয়ার ঝুঁকিতে থাকে। এসব শিশুর মধ্যে এমন বহু দেশের শিশু রয়েছে, যেসব দেশে শিশুদের প্রহার বা শারীরিক শাস্তি দেয়া নিষিদ্ধ।
ইউনিসেফের সংজ্ঞা অনুযায়ী, শিশুদের সঙ্গে ধমকের সুরে চিৎকার বা উচ্চস্বরে কথা বলা, তাদের গালাগাল করা মানসিক শাস্তির শামিল। বিশ্বের অনেক দেশেই শিশুদের প্রহার করা আইনত নিষিদ্ধ।
আরও পড়ুন>> কর্মী পাঠানোর নামে ৩৫’শ কোটি টাকা পাচার
ইউনিসেফ জানিয়েছে, বিশ্বের প্রতি চারজন মায়ের একজন বিশ্বাস করেন, শিশুদের যথাযথভাবে শিক্ষিত করে গড়তে তাদের প্রহার বা শারীরিক শাস্তি দেয়া দরকার। তবে তাদের এ ধারণা একদমই সঠিক নয়।
সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ক্যাথরিন রাসেল এক বিবৃতিতে বলেন, ‘যদি শিশুরা বাড়িতে শারীরিক বা মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়, তাহলে তাদের মানসিক উন্নতি বাধাগ্রস্ত হয়। নিজের মূল্য সম্পর্কেও ভুল ধারণা গড়ে ওঠে। শিশুদের প্রতি যত্নশীল ও স্নেহপূর্ণ অভিভাবকত্ব একদিকে যেমন অভিভাবকের সঙ্গে শিশুর বন্ধন দৃঢ় করে, তেমনি তাদের শিক্ষা ও মানসিক বিকাশের ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সর্বোপরি অভিভাবকদের মনযোগ ও স্নেহ শিশুদের মধ্যে নিরাপত্তাবোধ তৈরি করে।’
আপন দেশ/এসএমএ
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।