ছবি: সংগৃহীত
এ প্রথম ইউরোপের দেশ সাইপ্রাসে হামলার হুমকি দিয়েছেন হিজবুল্লাহর মহাসচিব হাসান নাসরুল্লাহ। তিনি ধারণা করছেন, সর্বাত্মক যুদ্ধ শুরু হলে সাইপ্রাস দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীকে তাদের বন্দর ও ঘাঁটি ব্যবহার করতে দিতে পারে।
নাসরুল্লাহ এ ব্যাপারে বলেন, ‘লেবাননে হামলা চালানোর জন্য যদি সাইপ্রাসের বন্দর এবং ঘাঁটি ইসরায়েলি শত্রুদের জন্য খুলে দেওয়া হয়, এটির অর্থ হবে, সাইপ্রাসের সরকার এই যুদ্ধের অংশ এবং প্রতিরোধবাহিনী তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের অংশ হিসেবে কাজ করবে।’
সাইপ্রাস সরকারের মুখপাত্র বলেছেন, হিজবুল্লাহ প্রধানের দেওয়া বিবৃতি এবং হুমকি বাস্তবতার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। সাইপ্রাস কখনও সামরিক সংঘাতে জড়িত ছিল না, হবেও না।
আরও পড়ুন<<>> হামাসকে নির্মূল অসম্ভব: ইসরায়েলি সেনাবাহিনী
বুধবার (১৯ জুন) নাসরুল্লাহ লেবানন ও ইসরায়েলি উপকূলের পশ্চিমে পূর্ব ভূমধ্যসাগরে অবস্থিত ইইউ সদস্য সাইপ্রাসকে সতর্ক করে বলেন, ‘তাদের কাছে তথ্য আছে যে ইসরায়েল সাইপ্রাসে সামরিক মহড়া চালাচ্ছে।’
সাইপ্রাসের প্রেসিডেন্ট নিকোস ক্রিস্টোডোলাইডস বলেছেন, তার দ্বীপ রাষ্ট্র ওই অঞ্চলে কোনো সামরিক অভিযানে 'কোনোভাবেই জড়িত নয়'। বৃহস্পতিবার সাইপ্রাসের মুখপাত্র কনস্ট্যান্টিনোস লেটিমপিওটিস বলেন, লেবাননের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক এখনো চমৎকার।
এদিকে লেবানন থেকে আল জাজিরার প্রতিনিধি বলেছেন, হিজবুল্লাহ এখনও সাবধানে এগোচ্ছে। এখনও তারা ইসরায়েলের সাথে সম্পর্কের অলিখিত নিয়ম মেনে চলছে। সংঘাত মূলত সীমান্ত অঞ্চল এবং সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে সীমাবদ্ধ।
গতকাল বক্তব্যে হাসান নাসরুল্লাহ যা বলতে চেয়েছেন তা হলো, ‘হিজবুল্লাহ ইসরায়েলের সঙ্গে সর্বাত্মক যুদ্ধ চায় না। তবে তারা ইসরায়েলের ভয়ে ভীতও নয়।’
আপন দেশ/এমকেজে
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।