ছবি: সংগৃহীত
তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ভয়াবহ দাবানলে কমপক্ষে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ৭৮ জনেরও বেশি মানুষ। তাদের পাঁচজনকে নিবিড় পরিচর্যায় চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এছাড়া এ দাবানলে শত শত প্রাণীরও মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার (২২ জুন) রাতে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
এছাড়াও শুক্রবার দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী ফাহরেটিন কোকা সোশ্যাল হ্যান্ডেল এক্সে দেয়া পোস্টে জানান, দাবানল এখন দিয়ারবাকির ও মারদিন প্রদেশে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে ১২ জন মারা যাওয়ার পাশাপাশি আরও ৭৮ জন আহত হয়েছেন। পাঁচজনকে নিবিড় পরিচর্যায় চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
গত বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া এ আগুনে শুক্রবার পর্যন্ত কয়েকশ প্রাণী মারা গেছে। আগুন সিরিয়ার সীমান্তবর্তী দিয়ারবাকির এ মারদিন নগরীর মধ্যকার বিশাল এলাকা পুড়িয়ে দিয়েছে।
ফরাসি বার্তাসংস্থা এএফপি’র প্রত্যক্ষদর্শী এক সংবাদদাতা জানান, বৃহস্পতিবার আগুন ছড়িয়ে পড়ে ও দ্রুতই তা পাঁচটি গ্রামের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়ায়। শুক্রবার একটি গ্রামের কাছে নতুন করে একটি দাবানল ছড়িয়ে পড়লে, তা নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
গত সপ্তাহে তুরস্কে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক বেশি ছিল, অর্থাৎ ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পার করেছিল। এর ফলেই দেশটির বন ও বিভিন্ন এলাকা শুকিয়ে গেছে।
অনেকের ধারণা, অতিরিক্ত তাপমাত্রা ও বাতাসের কারণেই দাবানলের সৃষ্টি হয়েছে। আবার কেউ কেউ মনে করছেন, খড় পোড়ানোর কারণে এ দুর্যোগ দেখা দিয়েছে। তুরস্কে ফসল কেটে নেয়ার পর ক্ষেতে থেকে যাওয়া ফসলের অবশিষ্টাংশে ইচ্ছা করেই আগুন লাগিয়ে দেয়া হয়।
দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলি ইয়ারলিকায়া এ দাবানল সৃষ্টির জন্য খড় পোড়ানোকেই দায়ী করেছেন। তবে, প্রকৃত কারণ জানতে অনুসন্ধান চলছে।
আপন দেশ/এসএমএ/এবি
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।