ছবি: সংগৃহীত
রাশিয়া ইউক্রেনের শহরগুলোতে ৪০ টিরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। এতে কমপক্ষে ২৩ জন নিহত হয়েছে। পাশাপাশি কিয়েভের একটি শিশু হাসপাতাল আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এএফপি এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে।
এএফপি সাংবাদিকরা জানান, তারা সোমবার (৮ জুলাই) ইউক্রেনের শহরগুলোতে বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পেয়েছেন এবং মধ্য কিয়েভ থেকে কালো ধোঁয়া উঠতে দেখা দেখা গেছে।
এ ছাড়া কিয়েভের শিশু হাসপাতালের কর্মকর্তাদের বিতরণ করা ছবিগুলোতে দেখা যায়, মানুষ ধ্বংসস্তূপের মাঝে খনন করছে, ভেঙে পরা ভবন থেকে কালো ধোঁয়া উঠছে। এ ছাড়া রক্তমাখা পোশাক পরা চিকিৎসাকর্মীদেরও সেখানে দেখা যায়।
হামলার পর ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, রুশ সন্ত্রাসীরা আবারও বিভিন্ন শহর—কিয়েভ, দিনিপ্রো, ক্রিভি রিগ, স্লোভিয়ানস্ক, ক্রামতোর্স্কে ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ইউক্রেনে ব্যাপকভাবে আক্রমণ করেছে।
তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, বিভিন্ন ধরনের ৪০টিরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে আবাসিক ভবন, অবকাঠামো ও একটি শিশু হাসপাতাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ওখমাদিত শিশু হাসপাতালের ধ্বংসস্তূপের নিচে অজানাসংখ্যক লোক আটকে পড়েছে। কতজন নিহত হয়েছে তা তাৎক্ষণিকভাবে স্পষ্ট নয় বলেও জেলেনস্কি বলেছেন।
কিয়েভে রাশিয়ার হামলায় কমপক্ষে ১০ জন নিহত হয়েছে বলে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। এ ছাড়া জেলেনস্কির নিজ শহর ক্রিভি রিগে হামলায় কমপক্ষে ১০ জন নিহত। ৩০ জনের বেশি আহত হয়েছে বলেছেন শহরের মেয়র বলেছেন।
সে সঙ্গে পূর্ব দোনেৎস্ক অঞ্চলে পোকরোভস্কে তিনজন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন আঞ্চলিক গভর্নর।
কিয়েভের তিনটি বৈদ্যুতিক সাবস্টেশন এদিন ধ্বংস বা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বলে এনার্জি অপারেটর ডিটিইকে জানিয়েছে।
ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে এ হামলার বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করা হয়নি। তারা জোর দিয়ে বলেন, তাদের বাহিনী বেসামরিক অবকাঠামোতে হামলা চালায় না।
জেলেনস্কি ও কিয়েভের অন্য কর্মকর্তারা ইউক্রেনের মিত্রদের প্রতি প্যাট্রিয়টসসহ আরো বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পাঠানোর আহ্বান জানিয়ে আসছেন। এতে তারা রাশিয়ার মারাত্মক বিমান হামলা প্রতিরোধ করতে পারবেন।
আপন দেশ/এইউ
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।