ছবি: সংগৃহীত
থানার মধ্যে হঠাৎ ছুটোছুটি শুরু করলেন পুলিশ সদস্যরা। কেউ কাদা-মাটি ছুঁড়ে মারছেন, কারও হাতে বস্তা, কেউ আবার পানি নিয়ে আসছেন বাইরে থেকে। সে কাদা-মাটি, পানি ও বস্তা দিয়ে এক নারীর শরীরের আগুন নেভানোর চেষ্টা করছেন তারা।
সে আগুনে ব্যাপকভাবে দগ্ধ হন ওই নারী। শেষমেষ মৃত্যু হয়েছে তার। জমি নিয়ে বিবাদের জেরে ওই নারী তার ছেলেকে নিয়ে থানায় এসেছিলেন এবং সেখানেই একপর্যায়ে ওই ছেলে তার মায়ের শরীরে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়।
আর এতেই মর্মান্তিক মৃত্যু হয় ওই মায়ের। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ছেলেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের উত্তর প্রদেশের আলীগড়ে। মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) রাতে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পারিবারিক বিবাদ মেটাতে মা এবং ছেলে থানায় এসেছিলেন। আর সেখানেই মায়ের গায়ে আগুন ধরিয়ে দেন তার ছেলে। ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের আলীগড়ের খাইর থানা এলাকায় ঘটেছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, জমি সংক্রান্ত ঝামেলা মেটাতে মা এবং ছেলেকে ডেকে পাঠিয়েছিল খাইর থানা। আর সে মতো মঙ্গলবার দুপুরের দিকে ছেলেক নিয়ে থানায় হাজির হন হেমলতা নামের ওই নারী।
পুলিশ সূত্রে বলা হয়েছে, দীর্ঘ দিন ধরেই পারিবারিক এক সমস্যার কারণে দুজনের মধ্যে ঝামেলা চলছিল। এমনকি, ছেলের নামে থানায় এফআইআরও করেছিলেন হেমলতা। বিবাদ মেটাতে দুপক্ষকেই ডেকে পাঠায় পুলিশ। কিন্তু পুলিশের হস্তক্ষেপেও সমস্যার সমাধান মেলেনি।
ফলে পুলিশের সামনেই দুজনে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন। আর সে সময়ই মায়ের গায়ে তারই ছেলে গৌরব আগুন ধরিয়ে দেয় বলে অভিযোগ রয়েছে।
সিনিয়র পুলিশ সুপার সঞ্জীব সুমন জানিয়েছেন, থানার মধ্যেই মায়ের শরীরে আগুন ধরিয়ে দেন ছেলে। পারিবারিক জমি নিয়ে মা-ছেলের মধ্যে ঝামেলা চলছিল অনেকদিন ধরেই। এফআইআরও দায়ের হয়। বিবাদ মেটানোর জন্য থানায় তাদের দুজনকেই ডেকে পাঠানো হয়েছিল। সেখানে এমন ঘটনা ঘটেছে।
আপন দেশ/এমবি
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।