ফাইল ছবি
কোটা বিরোধী আন্দোলন ঠেকাতে গোলাবারুদের ব্যবহার সম্পর্কে ঢাকার কাছে জানতে চেয়েছে জাতিসংঘ। তাদের দেখামাত্র গুলি চালানোর নির্দেশ ছিল আইনশৃঙ্খলবাহিনীর প্রতি। এ বিষয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন জাতিসংঘ। জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক।
বুধবার (২৪ জুলাই) বাংলাদেশে বিক্ষোভকারী দেখামাত্র গুলির করার নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। এ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে এসব কথা বলেন সংস্থাটির মহাসচিব আন্থোনিও গুতেরেসের এ মুখপাত্র। মানবাধিকার নীতির সব শর্ত পূরণ করে শান্তিরক্ষী বাহিনীতে বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য পাঠানো হয়। তা নিশ্চিতে প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে বিশ্ব সংস্থাটি।
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রয়েছে। ভবিষ্যতে আরো বেশি শান্তিরক্ষী নিয়োগের আগ্রহের কথাও জানিয়েছেন জাতিসংঘের একাধিক কর্মকর্তা। বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের পেশাদারি এবং মানবিক কার্যাবলির প্রশংসা করেন জাতিসংঘের কর্মকর্তারা। বিশেষ করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শান্তিরক্ষা মিশনে সফলভাবে কাজ করছেন বলে উল্লেখ করেন।
বুধবার (২৪ জুলাই) ঢাকায় থাকা সব কূটনীতিক মিশনের রাষ্ট্রদূত ও প্রতিনিধিদের ধ্বংসযজ্ঞের স্থান পরিদর্শনে নিয়ে যায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এসময় জাতিসংঘের মনোনীত এক কূটনীতিককে থাকতে দেয়নি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। জাতিসংঘের সেই কূটনীতিকের নাম আনন্দ আলোকাবান্দারা। তিনি শ্রীলংকার নাগরিক। ঢাকায় জাতিসংঘ কার্যালয়ে নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে কর্মরত আছেন আলোকাবান্দারা।
এ বিষয়ে ঢাকার জাতিসংঘ কার্যালয়ের কাছে জানতে চাইলে মুখপাত্র জানিয়েছেন, ২৪ জুলাই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আয়োজনে ধ্বংসযজ্ঞের স্থান পরিদর্শনে যাওয়া হয়। এতে জাতিসংঘের ঢাকা কার্যালয় থেকে দুই জনকে মনোনীত করা হয়েছিল। এর মধ্যে থেকে কেন একজনকে বাদ দেয়া হয়েছে। তার ব্যাখ্যা সরকারের কাছে চাওয়া হয়েছে।
আপন দেশ/কেএইচ/এমবি
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।