ছবি : সংগৃহীত
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা আছে বলে বিভিন্ন মহলে জল্পনা-কল্পনা চাউর হয়েছে। তবে এমন অভিযোগ-জল্পনা সরাসরি প্রত্যাখান করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটি জানিয়েছে, হাসিনাকে উৎখাতে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো ভূমিকা নেই।
সেসঙ্গে বাংলাদেশে মার্কিন হস্তক্ষেপের অভিযোগ ‘কেবলই মিথ্যা’। মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সম্প্রতি গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা ও দেশত্যাগে বাধ্য হয়েছেন হাসিনা। হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র কারিন জিন পিয়ের এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, হাসিনার ক্ষমতাচ্যুতির বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সংশ্লিষ্টতা থাকার অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। তিনি আরও বলেন, আমাদের আদৌ কোন সম্পৃক্ততা ছিল না।
হোয়াইট হাউস সোমবার আরও বলেছে, আমরা বিশ্বাস করি— বাংলাদেশি জনগণেরই বাংলাদেশ সরকারের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করা উচিত এবং আমাদের অবস্থান ঠিক এটাই।
গত রোববার দ্য প্রিন্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, শেখ হাসিনা তাদের নেতা কর্মীদের উদ্দেশ্য করে এক বার্তা পাঠিয়েছেন। সে বার্তা দ্য প্রিন্টের হাতে এসেছে বলেও দাবি করা হয়।
দ্য প্রিন্ট হাসিনাকে উদ্ধৃত করে বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র তাকে ক্ষমতাচ্যুত করার ক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করেছে কারণ তারা (যুক্তরাষ্ট্র) বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের সেন্ট মার্টিন দ্বীপের নিয়ন্ত্রণ চায়।
তবে পরবর্তী সময়ে হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ অবশ্য সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে বলেছেন, তিনি (হাসিনা) কখনোই এ ধরনের কোনো বক্তব্য দেননি।
ছাত্র-জনতার তুমুল বিক্ষোভের মুখে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে গত ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত হন শেখ হাসিনা। এরপর সামরিক বিমানে করে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন তিনি।
হাসিনার ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের মাধ্যমে এ বার্তা ইকোনমিক টাইমসে উদ্ধৃত হয়েছে। এছাড়া হাসিনা পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় রোববার তার এক্স একাউন্টের পোস্টে বলেছেন, তার মা ক্ষমতা ছাড়ার বিষয়ে কোনো বিবৃতি দেননি।
এসব বক্তব্যেকে মিথ্যা বলে হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, আমরা বিশ্বাস করি বাংলাদেশের জনগণ ভবিষ্যৎ সরকার নির্ধারণ করেছে এবং আমরা তাদের পাশে আছি।
আপন দেশ/এইউ
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।