ফাইল ছবি
শ্রীলঙ্কায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোট গণনার মধ্যে কারফিউ জারি করা হয়েছে।
শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাতে দেশজুড়ে কারফিউ জারি করা হয়।
শ্রীলঙ্কার পুলিশ জানিয়েছে, জনসাধারণের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে কারফিউ ঘোষণা করা হয়েছে।
এর আগে শনিবার সকাল ৭টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে শেষ হয় বিকেল ৪টায়। রোববার ফল ঘোষণার কথা রয়েছে।
ভোট শেষে দেশটির নির্বাচন কমিশন জানিয়েছেন, এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ। নির্বাচন কমিশনের এ ঘোষণার অল্প সময় পরে পুলিশ কারফিউ ঘোষণা করে।
গণঅভ্যুত্থানে গোতাবায়া রাজাপাকসে সরকারের পতনের দুই বছর পর শনিবার শ্রীলঙ্কায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচনে বর্তমান প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহেসহ রেকর্ডসংখ্যক ৩৮ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। রোববার সকালে সম্পূর্ণ ফলাফল প্রকাশের কথা রয়েছে। তবে প্রথমবারের মতো এবার নির্বাচন দ্বিতীয় দফায় গড়াতে পারে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
নির্বাচনকে দেশটির ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক সংস্কারের নির্ধারক হিসেবে দেখা হচ্ছে। পতিত সরকারের আমলে ধ্বংস হয়ে যাওয়া অর্থনীতিকে বিক্রমাসিংহে সচল করতে সক্ষম হলেও কর বৃদ্ধি, ভর্তুকি কমিয়ে দেওয়ার কারণে অনেকে এখনও সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন। অনুৎপাদনশীল প্রকল্পগুলোতে অত্যধিক ঋণ গ্রহণের ফলে দুই বছর আগে শ্রীলঙ্কায় ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকট তৈরি হয়। তীব্র অর্থনৈতিক সংকটে ওষুধ, খাদ্য, রান্নার গ্যাস এবং জ্বালানির মতো প্রয়োজনীয় জিনিসের মারাত্মক ঘাটতি দেখা দেয় দেশটিতে। এক পর্যায়ে দেশটিতে জনবিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়লে ২০২২ সালের ৩১ জুলাই বিক্ষোভকারীরা প্রেসিডেন্টের বাসভবন, তাঁর কার্যালয় এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়সহ গুরুত্বপূর্ণ ভবনগুলো দখল করে নেয়।
গণঅভ্যুত্থানের মুখে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন। পরে তিনি পদত্যাগ করলে দায়িত্ব নেন ৭৫ বছর বয়সী বিক্রমাসিংহে। অন্তর্বর্তী সরকারের নানা পদক্ষেপে অল্প সময়ের মধ্যেই ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে শ্রীলঙ্কার অর্থনীতি। তিনি আরেক মেয়াদ দায়িত্বে থাকতে চাইছেন। বিক্রমাসিংহেসহ প্রেসিডেন্ট হওয়ার লড়াইয়ে পাঁচ প্রার্থী আছেন আলোচনায়।
আপন দেশ/মাসুম
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।