ছবি: সংগৃহীত
ইসরায়েলের অব্যাহত বর্বর হামলার অংশ হিসেবে গাজায় আরও একটি স্কুলে হামলা চালিয়েছে। এতে কমপক্ষে ১৫ জন নিহত হয়েছেন। যাদের মধ্যে নারী ও শিশুরাও রয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অনেকে। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) কাতার ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার বরাতে জানা গেছে, হামলার শিকার স্কুলটি গাজার জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরের হাফসা আল-ফালুজা স্কুল। এ স্কুলটিতে বহু বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি আশ্রয় নিয়েছিলেন।
অন্যদিকে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর দাবি, হামাস যোদ্ধাদের ব্যবহৃত একটি কমান্ড সেন্টার লক্ষ্য করে তারা সুনির্দিষ্ট হামলা চালিয়েছে। তবে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন বলছে, হামলায় অসংখ্য নিরীহ নারী ও শিশু প্রাণ হারিয়েছেন।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, ইসরায়েলের চলমান হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যার ফলে মোট নিহতের সংখ্যা ৪১ হাজার ৫০০ জন ছাড়িয়ে গেছে। আহত হয়েছেন প্রায় ৯৬ হাজার ৯২ জন মানুষ।
উদ্ধারকর্মীরা জানিয়েছেন, ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও অসংখ্য মানুষ আটকা পড়ে আছেন। উদ্ধার কাজ চলছে। তবে পরিস্থিতি অত্যন্ত বিপজ্জনক হওয়ায় আটকে পড়াদের কাছে পৌঁছাতে বেগ পেতে হচ্ছে।
ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে তুর্কি ভিত্তিক বার্তাসংস্থা আনাদোলু জানিয়েছে, গাজার বিভিন্ন অঞ্চলে এখনও ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন। ধ্বংসস্তূপের নিচে অনেকেই আটকা পড়ে আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব উপেক্ষা করে ইসরায়েল তাদের হামলা অব্যাহত রেখেছে। ইসরায়েলের এ হামলায় গাজার ৮৫ শতাংশ জনগণ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। আর ৬০ শতাংশ অবকাঠামো পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে।
আপন দেশ/অর্পিতা
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।