ছবি সংগৃহীত
হিযবুত-তাহরীর ও এর অঙ্গ সংগঠনকে ‘সন্ত্রাসী’ সংগঠন তালিকাভুক্ত করেছে ভারত। বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ ঘোষণা দিয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, হিযবুত-তাহরীর জিহাদ ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী ইসলামি খিলাফত প্রতিষ্ঠা করতে চাই। যা দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা এবং অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার জন্য মারাত্মক হুমকিস্বরূপ।
মন্ত্রণালয় আরও জানায়, হিযবুত-তাহরীর উগ্রবাদী যুবকদের আইএসআইএসের মতো সন্ত্রাসী সংগঠনে যোগ দিতে ও তহবিল সংগ্রহে অনুপ্রাণিত করে। আইএসআইএসও ভারতের আইনে বেআইনি কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) আইন-১৯৬৭ এর প্রথম তফসিলের অধীনে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসাবে তালিকাভুক্ত।
হিযবুত-তাহরীর বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ও নিরাপদ অ্যাপ ব্যবহার করে যুবকদের সন্ত্রাসবাদে উৎসাহিত ও সন্ত্রাসবাদ প্রচার করে। কেন্দ্রীয় সরকার বিশ্বাস করে, হিযবুত-তাহরীর সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে জড়িত ও ভারতে সংঘটিত বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করেছে। তাই বেআইনি কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) আইন, ১৯৬৭ এর প্রদত্ত ক্ষমতা প্রয়োগ করে সংগঠনটিকে ‘সন্ত্রাসী’ সংগঠন হিসাবে ঘোষণা করেছে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এক্সে লিখেছেন, হিযবুত-তাহরীরের বিরুদ্ধে গৃহীত পদক্ষেপ সন্ত্রাসের প্রতি মোদি সরকারের জিরো টলারেন্স নীতির অংশ।
তিনি লিখেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সন্ত্রাসবাদের প্রতি শূন্য সহনশীলতার নীতি অনুসরণ করে হিযবুত-তাহরীরকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসাবে ঘোষণা করেছে। এ দলটি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। তারা যুবকদের সন্ত্রাসবাদী সংগঠনে যোগদানের জন্য মৌলবাদী করে তোলে ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের জন্য তহবিল সংগ্রহ করে। এসব কর্মকাণ্ড ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা এবং সার্বভৌমত্বের জন্য গুরুতর হুমকিস্বরূপ। মোদী সরকার লৌহমুষ্টি দিয়ে সন্ত্রাসবাদকে মোকাবিলা ও ভারতকে সুরক্ষিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আপন দেশ/এমবি
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।