ফাইল ছবি
ইয়াহিয়া সিনওয়ার নিহত হওয়ার পর গাজার নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের শীর্ষ নেতৃত্বে আবার শূন্যতা তৈরি হয়েছে। তবে গোষ্ঠীটি দ্রুত এ শূন্যতা কাটিয়ে উঠতে তৎপরতা শুরু করেছে।
গোষ্ঠীটির উচ্চপর্যায়ের সূত্রে জানা গেছে, হামাসের প্রধান নেতার পদে ঘুরেফিরে আসছে চারটি নাম— খলিল আল হায়া, খালেদ মেশাল, মোহাম্মদ দারউইশ ও ইয়াহিয়া সিনওয়ারের ভাই মোহাম্মদ সিনওয়ার।
এ চারজনের মধ্যে মোহাম্মদ সিনওয়ার সম্ভবত বাদ পড়বেন। হামাসের শুরা কাউন্সিল এমন একজনকে গোষ্ঠীর শীর্ষ নির্বাহীর পদে আনতে চাইছে। তিনি গাজার বাইরে অবস্থান করছেন। সিনওয়ার নিহত হওয়ার পর গাজায় হামাসের প্রধান সংগঠক হিসেবে তার ভাইকে সবচেয়ে উপযুক্ত মনে করা হচ্ছে।
তবে তালিকার বাকি তিনজন বর্তমানে কাতারের রাজধানী দোহায় অবস্থান করছেন। তারা সবাই হামাসের শীর্ষ পর্যায়ের নেতা। ৩১ জুলাই ইরানে এক আততায়ী হামলায় হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান ইসমাইল হানিয়া নিহত হন। তার কয়েক দিন পর আগস্ট মাসে ইয়াহিয়া সিনওয়ার সে পদে আসেন।
সিনওয়ারের আগে হামাসের গাজা শাখার প্রধান নেতা ছিলেন তিনি। হামাসের শীর্ষ পদে আসার পর খলিল আল হায়া গোষ্ঠীর উপপ্রধান নেতা হন। সুতরাং সিনওয়ার নিহত হওয়ার পর খলিল আল হায়ার হামাসের প্রধান নেতা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তবে তার প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আছেন খালেদ মেশাল ও মোহাম্মদ দারউইশ। খালেদ মেশাল হামাসের শীর্ষ নেতা এবং দক্ষ লিয়াজোঁ কর্মকর্তা। তিনি মধ্যপ্রাচ্য ও অন্যান্য মিত্র দেশের সঙ্গে হামাসের যোগাযোগ দেখভাল করেন।
অন্যদিকে মোহাম্মদ দারউইশ হামাসের শুরা কাউন্সিলের সদস্য। হামাসের একটি উচ্চ পর্যায়ের সূত্র জানিয়েছে, ১৯৮৭ সালে হামাস প্রতিষ্ঠার পর থেকে রাজনৈতিক ও সামরিক শাখা পৃথক ছিল। তবে ইয়াহিয়া সিনওয়ারের ক্ষমতা নেওয়ার পর এই দু’টি শাখা এক হয়ে গিয়েছিল।
এখন হামাস গোষ্ঠীটি আবার পুরনো ব্যবস্থায় ফিরতে চায়। সূত্রটি আরও জানিয়েছে, হামাসের প্রধান নেতার পদ দীর্ঘদিন শূন্য রাখার সংস্কৃতি নেই। তাই এবারও দ্রুততম সময়ের মধ্যে শীর্ষ নেতৃত্ব নির্বাচিত হবে।
আপন দেশ/এমবি
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।