বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী কমলা হ্যারিস। ছবি: রয়টার্স
ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী কমলা হ্যারিস দেড় ঘণ্টার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। মার্কিন সেনাবাহিনী ও পারমাণবিক শক্তির নিয়ন্ত্রণসহ সব ক্ষমতার অধিকারী হন তিনি।
২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হারিয়ে নির্বাচিত হন জো বাইডেন। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথম কোনো নারী ও প্রথম দক্ষিণ-এশীয় আমেরিকান হিসেবে ভাইস-প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন কমলা হ্যারিস।
২০২১ সালের জানুয়ারিতে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেন বাইডেন। রানিংমেট হিসেবে তার ভাইস প্রেসিডেন্ট হন কমলা। দায়িত্ব গ্রহণের কয়েক মাস পর নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে যান প্রেসিডেন্ট বাইডেন। সে সময় তিনি ভাইস-প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে দায়িত্ব দেন।
গণমাধ্যমের প্রতিবেদন মতে, ২০২১ সালের ১৯ নভেম্বর কলোনোস্কোপি করার জন্য প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে অ্যানেস্থেশিয়া দেয়া হয়। সে সময় প্রায় ৮৫ মিনিটের জন্য প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব ছিল কমলা হ্যারিসের হাতে। এর মধ্যদিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথম কোনো নারী হিসেবেও প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করার গৌরব অর্জন করেন কমলা।
বিশ্বের সবচেয়ে পুরনো গণতান্ত্রিক দেশ যুক্তরাষ্ট্রের আড়াইশ’ বছরের ইতিহাসে কোনো নারী রাজনীতিক প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হননি। ২০১৬ সালে সম্ভাবনা জাগিয়েও শেষ পর্যন্ত ট্রাম্পের কাছে হেরে যান সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিন্টন।
কমলা হ্যারিসের মধ্যদিয়ে আরেকবার সেই সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। মার্কিন অনেক শীর্ষ নেতাই বলছেন, কমলাকে ভোট দেয়া উচিত। বিশেষ করে সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা মার্কিন পুরুষ ভোটারদের কিছুটা কটাক্ষ করে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টাতে বলেছেন।
কমলার প্রচারেও এ বিষয়টি বিশেষভাবে নজরে আনা হচ্ছে। ফলে সবার মধ্যে একটাই কৌতূহল, কমলা কি যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হতে যাচ্ছেন।
আপন দেশ/এমবি
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।