থাইল্যান্ড সীমান্তে মিয়ানমারের হামলায় ধ্বংসপ্রাপ্ত এলাকায় টহল দিচ্ছে কারেন ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মির যোদ্ধারা। ছবি: রয়টার্স
মিয়ানমার সামরিক জান্তা সরকারের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ৩ দেশ। কানাডা ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে সমন্বয় করে এ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাজ্য।
মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) জান্তার ‘সামরিক উপকরণ, সরঞ্জাম ও তহবিল’ সংগ্রহের ওপর এ নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করা হয়। খবর রয়টার্স।
যুক্তরাজ্য মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীকে বিমানের জ্বালানি ও সরঞ্জাম সরবরাহকারী সংস্থাগুলোর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এর উদ্দেশ্য বেসামরিক নাগরিকদের ওপর বিমান হামলার সক্ষমতা সীমিত করা।
এক বিবৃতিতে বলা হয়, আগস্টে মিয়ানমার সেনাবাহিনী সর্বোচ্চ বিমান হামলা চালিয়েছে। যে কারণে বহু বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছে। যা ‘গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের’ সমতুল্য। এ নিষেধাজ্ঞায় সামরিক জান্তার বিমানের জ্বালানি সরবরাহ বা নিষিদ্ধ পণ্য সরবরাহের সাথে জড়িত ছয়টি সংস্থাকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে।
নিষেধাজ্ঞায় ছয়টি সংস্থা লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। যা সামরিক জান্তার বিমান জ্বালানি সরবরাহের সাথে জড়িত।
ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্যাথরিন ওয়েস্ট বলেন, মিয়ানমারে মানবাধিকার লঙ্ঘন অগ্রহণযোগ্য। নিরীহ নাগরিকদের ওপর এর প্রভাব অসহনীয়।
লন্ডনে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র দফতর জানায়, ২০২১ সালের অভ্যুত্থানের পর যুক্তরাজ্য মিয়ানমারের নাগরিক সমাজকে ১৯৫ কোটি ডলার সাহায্য দিয়েছে।
এতে বলা হয়, লড়াইয়ের কারণে ৩৪ লাখের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে; ১ কোটি ৮০ লাখের বেশি মানুষের মানবিক সহায়তা প্রয়োজন। মিয়ানমার এখন ‘গুরুতর ও সংগঠিত অপরাধের বিস্তারের শিকার হচ্ছে।
নতুন এ নিষেধাজ্ঞা, জাতিগত সংখ্যালঘু বিদ্রোহী ও পিপলস ডিফেন্স ফোর্সেসের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক অভিযানের প্রেক্ষাপটে এসেছে।
বিশ্লেষক ও এএফপির হিসেব অনুযায়ী, তারা প্রায় ৫০ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকা থেকে জান্তাকে হটিয়ে দিয়েছে। এ অগ্রগতির ফলে বিদ্রোহীরা পুরনো রাজকীয় রাজধানী মান্দালয়ের কাছে পৌঁছে গেছে।
আপন দেশ/এমবি
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।