ছবি সংগৃহীত
ধর্ষণের পর জীবন্ত পোড়ানো হলো ৩ সন্তানের জননী শিক্ষিকাকে। পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) রাতে একদল সশস্ত্র মেইতেই গোষ্ঠীর সদস্য ৩১ বছর বয়সী হামার জনগোষ্ঠীর ওই স্কুল শিক্ষিকাকে ধর্ষণ করে তার গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। এছাড়াও ওই গ্রামের ২০ বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় তারা। ঘটনাটি ভারতের মণিপুর রাজ্যে জিরিবাম জেলার। পরিস্থিতি বেশ উত্তপ্ত। খবব টাইমস অব ইন্ডিয়ার।
প্রতিবেদনে বলা হয়, পুলিশের কাছে ওই নারীর স্বামী অভিযোগ দায়ের করেছে। তাতে উল্লেখ করা হয়েছে, তার স্ত্রীকে ‘সশস্ত্র মেইতেই সন্ত্রাসীরা’ প্রথমে ধর্ষণ করে পরে পরে গায়ে আগুন ধরিয়ে দিয়ে হত্যা করে।
পুলিশের এক কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যমকে জানান, নিহত নারীর মরদেহ পরিবারের কাছে রয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য ওই নারীর মরদেহ আসামের শিলচরে পাঠানোর চেষ্টা করছি। পরিস্থিতি বেশ উত্তপ্ত। পুলিশ এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি, কীভাবে ওই নারী পুড়েছেন এবং কতগুলি বাড়ি আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে ২০ বাড়ি পুড়ে গেছে বলে আমরা খবর পেয়েছি।
গত ১৯ অক্টোবর কুকি-জো-হামার গোষ্ঠীর সদস্যদের সঙ্গে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর বন্দুকযুদ্ধ হয়। এর আগে, এরপর থেকে পরিস্থিতি তুলনামূলক শান্ত ছিল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশের ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, জিরিবাম জেলার পুলিশ সুপারের উদ্যোগে স্থানীয় মেইতেই ও হামার জনগোষ্ঠীর মধ্যে শান্তি আলোচনা শুরু হচ্ছে। ঠিক এরআগে এ অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটলো। এলাকায় শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সিআরপিএফ, আসাম রাইফেলস এবং পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
তথ্যমতে, মণিপুরে বছরের বেশি সময় ধরে মেইতেই ও অন্যান্য জনজাতির মধ্যকার সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৩৮ জনে। এ ছাড়া বাস্তুচ্যুত হয়েছে ৬০ হাজারে বেশি মানুষ।
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।