ছবি : সংগৃহীত
যুক্তরাষ্টের নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। আগামী বছরের জানুয়ারিতে শপথ নেবেন তিনি। তার আগে বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনের শ্রমবিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি ক্যালি এফ ফে রডরিগেজ ঢাকায় আসছেন। আগামী ২২ নভেম্বর ৫ দিনের সফরে আসছেন তিনি।
তার নেতৃত্বে মার্কিন শ্রম দপ্তরের প্রতিনিধি ছাড়াও দেশটির উন্নয়ন সহযোগি ইউএসএআইডিসহ অন্যান্য দপ্তরের প্রতিনিধিরা থাকবেন। প্রতিনিধি দলটি সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে আলোচনা ছাড়াও বাংলাদেশের শ্রমিক সংগঠন ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
জানা গেছে, মার্কিন সরকার শ্রম অধিকার, শ্রমিকদের সংগঠনের স্বাধীনতার মতো বিষয়গুলোতে ৫ আগস্টের আগে তারা যেমন সোচ্চার ছিল। তেমনি ড. ইউনূস সরকারের সময়েও সোচ্চার রয়েছে। শেষ মুহূর্তে মার্কিন অর্থায়নে পরিচালিত শ্রমিক সংগঠনগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারে এবং নিজ দেশের আভ্যন্তরীণ রাজনীতির অংশ হিসেবে এ সফর। বর্তমান সরকারের অন্যান্য সংস্কার কার্যক্রমের পাশাপাশি শ্রমখাতে সংস্কারেও কাজ করছে। এ খাতে সংস্কারের জন্য একটি কমিশনও করা হয়েছে।
বিষয়গুলো মার্কিন প্রতিনিধি দলকে জানানো হবে। সেই সঙ্গে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) যে পথ নকশা রয়েছে, তা অনুসরণ করবে ঢাকা। তাদের পক্ষ থেকে যেহেতু শ্রম আইনের সংস্কার, শ্রম অধিকার রক্ষা, শ্রমিকদের বিরুদ্ধে করা মামলাগুলো তুলে নেয়া, শ্রম সংগঠনের স্বাধীনতার মতো বিষয়গুলো থাকবে। মার্কিন রাজনীতিতে ডেমোক্রেটদের শ্রমিক বান্ধব সরকার হিসেবে মূল্যায়ন করা হয়।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, বিদ্যমান বাস্তবতায় বাইডেন প্রশাসনের সময় যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের শ্রম বিষয়ে যে পরিমাণ সোচ্চার ছিল, ট্রাম্প সরকার গঠনের পর এ বিষয়ে অতটা নজর থাকবে না। তবে মার্কিন অর্থায়নে পরিচালিত শ্রমিক সংগঠনে তাদের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। এতে করে ডেমোক্র্যাটরা ভবিষ্যতে দেখাতে পারবে, সরকারের শেষ দিন পর্যন্ত দলটি শ্রমিকদের পক্ষে কাজ করে গেছে।
আপন দেশ/জেডআই
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।