Apan Desh | আপন দেশ

বাংলাদেশের ২ হাজার পাহাড়ি মিজোরামে আশ্রয় পাবে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক    

প্রকাশিত: ১৫:২১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪

আপডেট: ১৬:৪৯, ২৩ নভেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশের ২ হাজার পাহাড়ি মিজোরামে আশ্রয় পাবে

মিজোরামে আশ্রয় নেয়া একদল শরণার্থী। ছবি: সংগৃহীত

ভারতের মিজোরাম রাজ্য সরকার বিভিন্ন দেশ থেকে আশ্রয় নেয়া শরণার্থীদের স্থানান্তরিত করার পরিকল্পনা করছে। একই সঙ্গে তাদের সবাইকে একত্র করারও উদ্যোগ নিয়েছে। এতে ২ হাজারের বেশি বাংলাদেশিও এ কেন্দ্রে আশ্রয় পাবে। এ তথ্য জানিয়েছে  মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রীর রাজনৈতিক পরামর্শদাতা লালমুয়ানপুয়া পুন্তে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বৃহস্পতিবার লালমুয়ানপুয়া পুন্তে দক্ষিণ মিজোরামের লংট্লাই জেলার কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে আলোচনা করা হয়, জেলাটিতে আশ্রয় নেয়া ২ হাজারের বেশি বাংলাদেশি শরণার্থীকে এ শরণার্থীশিবিরে আশ্রয় দেয়া হবে।

বৈঠকে পুন্তে বলেন, শরণার্থীদের কোনো একটি জায়গায় বসবাস এবং যখন-তখন যত্রতত্র স্থানান্তরের বিরুদ্ধে নিয়মাবলি তৈরি করা উচিত। যাতে তারা ইচ্ছেমতো স্থান পরিবর্তন করতে না পারে। 

তিনি আরও বলেন, সরকার শরণার্থীদের একত্র করার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। যাতে তারা বিভিন্ন গ্রামে ছড়িয়ে না থাকে। একই সঙ্গে প্রশাসনিক সুবিধা সহজ হয়। এ পরিকল্পনা সরকারের জন্য শরণার্থীদের মানবিক সহায়তা প্রদান আরও সুবিধাজনকভাবে করতে সাহায্য করবে।

তিনি বলেন, সরকার পরিকল্পনা করছে—বাংলাদেশের চট্টগ্রাম পাহাড়ি অঞ্চলের ২ হাজার ১৪ শরণার্থীকে—যারা বর্তমানে লংট্লাই জেলার বিভিন্ন গ্রামে আশ্রয় নিয়েছে—নির্দিষ্ট চারটি গ্রামে স্থানান্তরিত করার।

লংট্লাই জেলার উপকমিশনার শিবা গোপাল রেড্ডি বলেন, মিয়ানমার ও বাংলাদেশের সীমানায় অবস্থিত এ জেলায় বর্তমানে ৬ হাজার ৩০ জন মিয়ানমারের শরণার্থী, মণিপুরের অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুতির শিকার ৮৪ জন ও ২ হাজার ১৪ বাংলাদেশি শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছে।

এর আগে মিজো যুব সমিতি (ওয়াইএমএ), রাজ্যের বৃহত্তম নাগরিক সমাজ সংস্থা যৌথভাবে রাজ্য সরকারকে একটি সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা গঠনের আহবা জানায়। তারই পরিপ্রেক্ষিতে শরণার্থীদের জন্য একটি নির্দিষ্ট আশ্রয়কেন্দ্র স্থাপন উল্লেখযোগ্য। এ আশ্রয়কেন্দ্রে ৪২ হাজার শরণার্থী ও অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুত ব্যক্তিদের সঠিকভাবে আশ্রয় দেয়া হবে।

রাজ্য স্বরাষ্ট্র দপ্তরের মতে, বর্তমানে রাজ্যের ১১ জেলায় ৩৩ হাজারের বেশি মিয়ানমারের নাগরিক আশ্রয় নিয়েছেন। যার মধ্যে ১২ হাজার ৫৭২ জন শিশু। এ ছাড়া মণিপুরে জাতিগত দাঙ্গার শিকার হয়ে ৭ হাজার ৭৫৬ জন মিজোরামের বিভিন্ন অংশে আশ্রয় নিয়েছে।

আপন দেশ/এমবি

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

সম্পর্কিত বিষয়:

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়