ছবি : সংগৃহীত
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বাহিনীর আগ্রাসন অব্যাহত রয়েছে। গত ৪৮ ঘণ্টায় দখলদার বাহিনীর হামলায় আরও ১২০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ নিয়ে উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা ৪৪ হাজার ২০০ জনে পৌঁছে গেছে।
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের বরাতে শনিবার (২৩ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের চলমান হামলায় কমপক্ষে আরও ১২০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এতে করে গত বছরের অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৪ হাজার ২০০ জনে পৌঁছেছে।
বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে নিহতদের মধ্যে গাজার জেইতুন এলাকায় একই পরিবারের সাতজন রয়েছেন। গভীররাতে এক হামলায় তাদের বাড়ি ধ্বংস হয়। এছাড়া মধ্য ও দক্ষিণ গাজায় পৃথক হামলায় আরও অনেকে প্রাণ হারান।
ইসরায়েলি বাহিনী গাজার উত্তর প্রান্তে তাদের অভিযান জোরদার করেছে। তাদের দাবি, হামাসের আক্রমণ প্রতিরোধ ও দলটির পুনর্গঠন ব্যাহত করা অভিযানের উদ্দেশ্য। তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, গাজা উপত্যকার কিছু অংশকে স্থায়ীভাবে খালি করতে আগ্রাসন চালাচ্ছে ইসরায়েল। অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে তেল আবিব।
গাজার কামাল আদওয়ান হাসপাতালের পরিচালক হুসাম আবু সাফিয়া বলেন, শুক্রবার বিকেল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত ইসরায়েলি হামলায় হাসপাতালের জরুরি বিভাগের প্রবেশপথ কয়েকবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে ১২ জন কর্মী আহত হন। এছাড়া, জেনারেটর, অক্সিজেন সরবরাহ নেটওয়ার্ক ও পানির লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর প্রাথমিক পর্যালোচনায় হাসপাতালের আশপাশে হামলার কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি বলে দাবি করা হচ্ছে।
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ মনে করছে, গাজা উপত্যকা জুড়ে ধ্বংস হওয়া বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও ১০ হাজারেরও বেশি লোক নিখোঁজ রয়েছেন। মূলত গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব সত্ত্বেও ইসরায়েল অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে তার নৃশংস আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে।
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।
এছাড়া ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।
আপন দেশ/জেডআই
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।