Apan Desh | আপন দেশ

হিজবুল্লাহর সঙ্গে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা ইসরায়েলের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৯:০৯, ২৭ নভেম্বর ২০২৪

আপডেট: ১১:০৯, ২৭ নভেম্বর ২০২৪

হিজবুল্লাহর সঙ্গে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা ইসরায়েলের

ছবি : সংগৃহীত

অবশেষে পিছু হটলেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। এক বছরেরও বেশি সময় যুদ্ধের পর লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর সঙ্গে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) জাতির উদ্দেশে দেয়া এক ভাষণে এই ঘোষণা দেন তিনি। খবর আল জাজিরা।

নেতানিয়াহু বলেন, যুদ্ধবিরতি চুক্তিটি পূর্ণাঙ্গ অনুমোদনের জন্য ইসরায়েলের পার্লামেন্টে উত্থাপন করা হবে। পাশাপাশি সম্পূর্ণ রূপরেখাও তুলে ধরা হবে। এ সময় উত্তরাঞ্চলীয় এলাকার বাসিন্দাদের ঘরে ফেরার আহ্বানও জানান তিনি।

ভাষণে নেতানিয়াহুর দাবি করেন, হিজবুল্লাহ বর্তমানে আগের মতো শক্তিশালী নেই। ইসরায়েলি বাহিনী তাদেরকে কয়েক দশক পিছিয়ে দিয়েছে। তেলআবিব যুদ্ধে লক্ষ্য পূরণ করেছে। এ সময় চুক্তি অমান্য করলে কঠোর জবাব দেয়ার হুঁশিয়ারিও দেন তিনি।

আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, গত সোমবার যুদ্ধবিরতির নীতিগত অনুমোদন দেন নেতানিয়াহু। যুদ্ধবিরতি এই চুক্তিটি বাস্তবায়ন হলে দুইপক্ষের মধ্যে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা সংঘাতের অবসান হবে। চুক্তি অনুযায়ী ইসরায়েল লেবানন থেকে তাদের সব সেনা প্রত্যাহার করে নিয়ে যাবে। অপরদিকে হিজবুল্লাহ সীমান্ত এলাকা থেকে সরে গিয়ে লিটানি নদীর অপরপ্রান্তে চলে যাবে। এছাড়া হিজবুল্লাহ সীমান্তে কোনো অবকাঠামো নির্মাণ ও নিজেদের পুনরায় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত করতে পারবে না।

যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সের মধ্যস্থতায় এই চুক্তি সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। হোয়াইট হাউসে বক্তব্য তিনি বলেন, ইসরায়েলের নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা ১০-১ ভোটে এই চুক্তি অনুমোদন করেছে। তিনি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং লেবাননের তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতির সঙ্গে কথা বলেছেন। 

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, প্রাথমিক অবস্থায় এ চুক্তির মেয়াদ থাকবে ৬০ দিন। পরবর্তীকালে এটি আবারও বৃদ্ধি হবে।

উল্লেখ্য, গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়। হামাসকে সহায়তায় এর পরের দিন ৮ অক্টোবর থেকে দখলদার ইসরায়েলের অবৈধ বসতি লক্ষ্য করে রকেট ছোড়া শুরু করে হিজবুল্লাহ। এর জবাবে ইসরায়েলও লেবাননে হামলা শুরু করে। তবে হিজবুল্লাহর যোদ্ধাদের সীমান্ত এলাকা থেকে পুরোপুরি সরিয়ে দিতে চলতি বছরের ২৬ সেপ্টেম্বর লেবাননে স্থল হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। যদিও ইসরায়েল যে লক্ষ্য করে স্থল হামলা শুরু করেছিল তারা সেটি পুরোপুরি অর্জন করতে পারেনি। উল্টো সেখানে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে। তবে আকাশ শক্তি ব্যবহার করে লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে ইসরায়েল। তাদের হামলায় দেশটির তিন হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

আপন দেশ/জেডআই

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়