Apan Desh | আপন দেশ

ইসরায়েলি আগ্রাসনে আরও ৩৬ ফিলিস্তিনি নিহত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৯:২১, ৪ ডিসেম্বর ২০২৪

ইসরায়েলি আগ্রাসনে আরও ৩৬ ফিলিস্তিনি নিহত

ছবি : সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় আগ্রাসন অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। দখলদার বাহিনীর বিমান হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩৬ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৯৬ জন। এতে করে উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা ৪৪ হাজার ৫০০ ছাড়িয়ে গেছে। 

বুধবার (৪ ডিসেম্বর) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় মোট ৪৪ হাজার ৫০২ জন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও অন্তত এক লাখ পাঁচ হাজার ৪৫৪ জন। এছাড়া আরও কয়েক হাজার লোক নিখোঁজ রয়েছেন।

আল জাজিরা জানিয়েছে, লেবাননের সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার পরও দেশটিতে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। গত সপ্তাহে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতির পর লেবাননে আরও অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছেন। এ নিয়ে লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত তিন হাজার ৯৬১ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১৬ হাজার ৫২০ জন।

উল্লেখ্য, ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় এক বছর ধরে হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েল। দেশটির অব্যাহত এ হামলায় সৃষ্ট ধ্বংসস্তূপ পরিষ্কার করতে অন্তত ১৫ বছর সময় লাগবে। এজন্য প্রতিদিন ১০০টি লরি ব্যবহার করতে হবে।

জাতিসংঘের হিসাবমতে, গাজায় ভবন ধসে এ পর্যন্ত ৪২ মিলিয়ন টনেরও বেশি ধ্বংসস্তূপ জমা হয়েছে। এ ধ্বংসস্তূপগুলো যদি একসঙ্গে এক জায়গায় রাখা যায়, তাহলে তা মিসরের ১১টি গ্রেট পিরামিডের সমান হবে। এ ধ্বংসস্তূপ সরাতে ব্যয় হবে ৫০০ থেকে ৬০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৭ হাজার কোটি টাকার বেশি)।

ইউএন এনভায়রনমেন্ট প্রোগ্রামের হিসাব অনুসারে, গাজায় ১ লাখ ৩৭ হাজার ২৯৭টি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যা অঞ্চলটির মোট ভবনের অর্ধেকের বেশি। ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের মধ্যে এক-চতুর্থাংশ পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। এ ছাড়া এক-দশমাংশ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং এক-তৃতীয়াংশ বেশ খানিকটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব ভবনের ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে ফেলার জন্য ২৫০ থেকে ৫০০ হেক্টর জমির প্রয়োজন পড়বে।

গাজাভিত্তিক জাতিসংঘের একজন কর্মকর্তা গার্ডিয়ানকে বলেন, অবকাঠামোর যে পরিমাণ ক্ষতি করা হয়েছে, তা পাগলামির পর্যায়ে পড়ে... দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসে একটি ভবনও নেই যেখানে ইসরায়েল হামলা চালায়নি।

তিনি আরও বলেন, প্রকৃত অর্থেই এ অঞ্চলের ভৌগোলিক চিত্র পরিবর্তিত হয়ে গেছে। যেখানে আগে পাহাড় ছিল না, এখন সেখানে পাহাড় হয়ে গেছে। দুই হাজার পাউন্ডের বোমাগুলো আক্ষরিক অর্থেই এ অঞ্চলের মানচিত্র বদলে দিয়েছে।

আপন দেশ/জেডআই

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়