দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট উন সুক ইয়েল
দেশে সামরিক আইন জারির জন্য ক্ষমা চেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট উন সুক ইয়েল। তবে তিনি পদত্যাগ করবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন।
ইউন বলেন, সামরিক আইন জারির পর আমি রাজনৈতিক দায়বদ্ধতা ও আইনগত বিষয়কে পরিহার করছি না। তবে সিদ্ধান্তটি হতাশা থেকে নেয়া হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, যারা আশাহত হয়েছেন তাদের প্রতি আমি দুঃখিত ও ক্ষমা চাচ্ছি।
গত মঙ্গলবার দেশটিতে সামরিক আইন জারির পর ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন প্রেসিডেন্ট ইয়েল। প্রধান বিরোধী দল ডেমোক্রেটিক পার্টি তার বিরুদ্ধে পার্লামেন্টে অভিশংসন প্রস্তাব উত্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয়, যার ওপর শনিবার (৭ ডিসেম্বর) ভোট হবে।
নিজের ক্ষমতাসীন দল পিপল পাওয়ার পার্টির নেতারাও প্রেসিডেন্ট ইয়েলের সামরিক আইন জারির ঘোষণায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন। দলটির কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় নেতা তাকে প্রেসিডেন্ট পদ থেকে ইস্তফা দেয়ারও আহবান জানান।
১৯৮০ সালের পর কোরিয়ায় প্রথম বারের মতো গত মঙ্গলবার সামরিক আইন জারি করে ব্যাপক প্রতিরোধের মুখে পড়েন ইউন।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) রাতে দক্ষিণ কোরিয়ায় হঠাৎ এক নাটকীয় পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। প্রেসিডেন্ট ইউন আকস্মিকভাবে সামরিক আইন জারির ঘোষণা দেন। এ আদেশের পর সেনা সদস্যরা পার্লামেন্টে ঘিরে ফেললেও প্রায় ১৯০ জন আইনপ্রণেতা পুলিশি বাধা অতিক্রম করে ভোটকক্ষে প্রবেশ করেন এবং আইনটি বাতিল করেন। এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই প্রেসিডেন্ট নিজ সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন।
তাছাড়া সামরিক আইন জারির সঙ্গে জড়িত এমন তিনজন সামরিক কমান্ডারকে বরখাস্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে এ তিনজন সামরিক কমান্ডারসহ আরও সাতজন অফিসারের ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেছেন প্রসিকিউটররা।
আপন দেশ/জেডআই
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।