এইচএমপিভি ভাইরাস।
ভারতে ভয়াবহ ভাবে ছড়িয়ে পড়ছে এইচএমপিভি (হিউম্যান মেটানিউমো ভাইরাস)। মঙ্গলবার (০৭ জানুয়ারি) দেশটির মহারাষ্ট্রে আরও দুইজনের দেহে এ ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তদের বয়স যথাক্রমে ৭ ও ১৩ বছর।
এর আগে কর্নাটক, তামিলনাড়ু ও গুজরাটে পাঁচ শিশুর দেহে ভাইরাসটি পাওয়া গিয়েছিল। এ পর্যন্ত ভারতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭ জনে।
এদিকে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও আতঙ্কিত না হওয়ার বার্তা দিয়েছেন ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জে পি নাড্ডা। একটি ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, এইচএমপিভি নতুন ভাইরাস নয়।
গতকাল সোমবার কর্নাটক, তামিলনাড়ু ও গুজরাটে পাঁচ শিশুর দেহে ভয় ধরানো ভাইরাসের হদিস মিলেছিল। আজ মহারাষ্ট্রে নতুন করে দুজনের দেহে পাওয়া যায় এইচএমপিভি। জ্বর ও সর্দিতে ভুগছিল তারা। নমুনা পরীক্ষা করতে গিয়ে তাদের দেহে এইচএমপিভি মেলে। তার জেরেই ফের নতুন করে আতঙ্ক বাড়ছে।
প্রাথমিকভাবে বিশেষজ্ঞদের ধারণা ছিল, ৫ বছরের কম বয়সিরাই কাবু হয় এ ভাইরাসে। কিন্তু ৭ ও ১৩ বছর বয়সীদের দেহে এইচএমপিভি মেলায় বাড়ছে দুশ্চিন্তা।
একটি ভিডিও বার্তায় কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্যবিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এইচএমপিভি কোনও নতুন ভাইরাস নয়। ২০০১ সালে প্রথমবার এ ভাইরাসের অস্তিত্ব মেলে। তারপর থেকে গোটা বিশ্বেই রয়েছে এ ভাইরাস। যেহেতু এ ভাইরাস বাতাসের মাধ্যমে ছড়ায়, তাই যেকোনও বয়সের ব্যক্তিই আক্রান্ত হতে পারেন। শীতকালে ও বসন্তের শুরুতে এ ভাইরাসের প্রকোপ বেশি হয়।
উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন ধরেই করোনা সংক্রমণের ভয়ঙ্কর দিনগুলির কথা মনে করাচ্ছে নয়া হিউম্যান মেটানিউমো ভাইরাস অর্থাৎ এইচএমপিভি। করোনার শুরুর দিনগুলির সঙ্গে সাদৃশ্য খোঁজার চেষ্টা করছেন অনেকেই। কেননা সেবারও চীনে শুরু হয়েছে সংক্রমণ। তারপর সেখান থেকে ছড়িয়ে পড়েছিল সর্বত্র।
অনেকে মনে করছেন, হয়তো এবারও হু হু করে ছড়াতে পারে এ সংক্রমণ। আর তাই তা নিয়ন্ত্রণ করতে লকডাউনের পথে হাঁটতে হতে পারে।
আপন দেশ/এমবি
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।