যুক্তরাজ্যের মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিকি
ছাত্র জনতার বিপ্লবে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের দুর্নীতির সঙ্গে নাম জড়িয়েছে টিউলিপ সিদ্দিকির। ফলে যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির এ মন্ত্রীর ওপর পদত্যাগের চাপ বাড়ছিল ক্রমাগত। এবার সেটি আরও জোরালো হল দেশটির প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের উদ্যোগে। টিউলিপকে মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়ে দেয়ার কথা ভাবছেন তিনি। শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) বেশ কয়েকটি সূত্রের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে দ্য টাইমস।
টিউলিপ সিদ্দিকি বর্তমানে যুক্তরাজ্যের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনীতিবিষয়ক মিনিস্টার (ইকোনমিক সেক্রেটারি)। এ পদে দেশটির আর্থিক খাতে দুর্নীতি বন্ধের দায়িত্বে আছেন তিনি। টিউলিপ গত আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানার মেয়ে।
বাংলাদেশে ৯ প্রকল্পে ৮০ হাজার কোটি টাকা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে টিউলিপ, তার খালা শেখ হাসিনা, মা শেখ রেহানা ও শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গত মাসে এ অনুসন্ধান শুরু হয়েছে।
এ ছাড়া গত শুক্রবার টিউলিপ সিদ্দিকিকে নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল ফিন্যান্সিয়াল টাইমস। তাতে বলা হয়, লন্ডনের কিংস ক্রস এলাকার কাছে টিউলিপের মালিকানায় একটি ফ্ল্যাট রয়েছে। ২০০৪ সালে সেটি আবদুল মোতালিফ নামের একজন আবাসন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে বিনামূল্যে পেয়েছিলেন। আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা ছিল আবদুল মোতালিফের।
এসব অভিযোগ নিয়ে টিউলিপ সিদ্দিকির ওপর পদত্যাগের চাপ বাড়লেও অতীতে তার পাশেই ছিলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার। তবে এখন তিনি সে অবস্থান থেকে সরে এলেন।
দ্য টাইমসের খবর অনুযায়ী, বাংলাদেশের সাবেক স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার সঙ্গে সম্পর্কের কারণে টিউলিপ সিদ্দিকিকে তার পদ থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হলে তার স্থলাভিষিক্ত কে হবেন, এমন প্রার্থীদের নাম স্টারমারের জ্যেষ্ঠ সহযোগীরা বিবেচনা করছেন। তারা এমন প্রার্থীদের চিহ্নিত করেছেন বলেও জানা গেছে। গত সোমবার টিউলিপ সিদ্দিকি যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর মিনিস্ট্রিয়াল স্ট্যান্ডার্ডসের ইন্ডিপেনডেন্ট অ্যাডভাইজার লাউরি ম্যাগনাসের কাছে নিজের বিরুদ্ধে তদন্তের আহবান জানানোর প্রকাশ্য ঘোষণা দেয়ার আগেই কর্মকর্তারা সম্ভাব্য প্রার্থীদের চিহ্নিত করেন।
তবে টিউলিপের পদে দায়িত্ব পালনের জন্য প্রার্থীদের শর্টলিস্ট করার বিষয়টি অস্বীকার করেছে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর দফতর ১০ নং ডাউনিং স্ট্রিট। একজন মুখপাত্র বিষয়টি “সম্পূর্ণ অসত্য” বলে দাবি করেছেন।
আপন দেশ/জেডআই/এবি
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।