Apan Desh | আপন দেশ

টিউলিপের দুর্নীতির খোঁজে বাংলাদেশে ব্রিটিশ গোয়েন্দারা

আপন দেশ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১২:২৩, ২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

আপডেট: ১৬:৩২, ২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

টিউলিপের দুর্নীতির খোঁজে বাংলাদেশে ব্রিটিশ গোয়েন্দারা

টিউলিপ সিদ্দিক

লন্ডনে ফ্ল্যাট এবং বাংলাদেশে দুর্নীতি ও অনিয়ম নিয়ে সমালোচনার মুখে ব্রিটিশ মন্ত্রীসভার সিটি মিনিস্টার পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন টিউলিপ সিদ্দিক। গত বছরের জুলাই আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হন শেখ হাসিনা। ভারতে আশ্রয় নেয়া আওয়ামী লীগ প্রধানের ছোট বোনের মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিকের ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নিতে অত্যন্ত গোপনীয়তার সঙ্গে বাংলাদেশ সফর করেছে যুক্তরাজ্যের জাতীয় অপরাধ সংস্থার (এনসিএ) একটি প্রতিনিধিদল।

দলটির সদস্যরা বাংলাদেশের দুর্নীতি বিরোধী তদন্তকারীদের সঙ্গে গোপন বৈঠক করেছেন। শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) এই তথ্য প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ‘দ্য মেইল অন সানডে’।

গত মাস জানুয়ারিতে হওয়া এ বৈঠকে ব্রিটিশ দলকে বাংলাদেশের কর্মকর্তারা জানান, তারা ৪২ বছর বয়সী টিউলিপের বিরুদ্ধে দুর্নীতির নতুন তথ্য যোগাড় করতে সমর্থ হয়েছেন।

‘দ্য মেইল অন সানডের’ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্রিটিশ কর্মকর্তারা এখন টিউলিপ সিদ্দিকের ব্যাংক হিসাব যাচাই, ই-মেইলের তথ্য যাচাই এমনকি জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে ডাকতে পারে।

টিউলিপ সিদ্দিক ও শেখ হাসিনা ছাড়াও গোটা শেখ পরিবারের বিরুদ্ধে পাবনার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। ২০১৩ সালে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে তখনকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ চুক্তি সই করেন। তখন সেখানে উপস্থিত ছিলেন টিউলিপ সিদ্দিকও। বলা হচ্ছে, টিউলিপ এতে মধ্যস্থতা করে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন।

বাংলাদেশের একটি সূত্র ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমটিকে জানিয়েছে, ব্রিটিশ দলটি ব্রিটেনে বালাদেশি কর্মকর্তাদের দ্বারা টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে অভ্যন্তরীণ চুক্তির মাধ্যমে তদন্ত করার প্রস্তাব দিয়েছেন। এছাড়া তারা টিউলিপের বিরুদ্ধে হয়ত তদন্ত করতে পারে। টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ উঠেছে সেগুলো যদি প্রমাণিত হয় তাহলে তার ১০ বছর বা তারও বেশি কারাদণ্ড হতে পারে।

বাংলাদেশি এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, যুক্তরাজ্যের এনসিএ-এর কর্মকর্তারাই এ গোপন বৈঠকটি আয়োজনের প্রস্তাব দেয়। এরপর ঢাকায় ব্রিটিশ হাইকমিশন এটি আয়োজন করে।

এর আগেও এনসিএ-এর কর্মকর্তারা বাংলাদেশে এসেছিলেন। সেটি গত বছরের অক্টোবরে। সেবার তারা কথা দিয়ে গিয়েছিলেন, বাংলাদেশ থেকে যেসব অর্থ পাচার করা হয়েছে, সেগুলো ফেরত দিতে তারা সহায়তা করবেন।

আপন দেশ/জেডআই

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়