
ছবি : সংগৃহীত
নানান টালবাহানা ও নাটকীয়তার পর অবশেষে ইসরায়েলের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন ৬০২ ফিলিস্তিনি। চুক্তি অনুযায়ী বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) ভোরে ইসরাইলের ওফার কারগার থেকে মুক্তি দেয়া হয় বন্দি ফিলিস্তিনিদের। কাতার ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভোরে কড়া সেনা পাহাড়ায় ৬২০ ফিলিস্তিনিকে অধিকৃত পশ্চিম তীরের রামাল্লায় পৌঁছে দেয়া হয়। একইদিন রেড ক্রসের কাছে চার ইসরাইলি জিম্মির মরদেহ হস্তান্তর করেছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। মরদেহ গ্রহণের কথা নিশ্চিত করেছে ইসরাইল। মরদেহগুলো শনাক্তের প্রক্রিয়া চলছে বলে আইডিএফ জানিয়েছে।
এর আগে হামাস ইসরাইলি জিম্মিদের ওপর ‘নিষ্ঠুর আচরণ’ করেছে এমন অভিযোগে গত ২২ ফেব্রুয়ারি ৬০২ ফিলিস্তিনি বন্দির মুক্তি স্থগিত করে ইসরাইল। প্রতিক্রিয়ায় হামাস বলে, এটি চুক্তির গুরুতর লঙ্ঘন।
পরে মধ্যস্থতাকারী দেশগুলোর উদ্যোগে গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তির সর্বশেষ অচলাবস্থা কেটেছে বলে জানায় ইসরাইল ও হামাস কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন<<>>শুক্রবার রাতে রমজানের চাঁদ অনুসন্ধানের আহবান সৌদির
এদিকে শনিবার (১ মার্চ) শেষ হচ্ছে গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রথম ধাপের সময়সীমা। পরবর্তী ধাপের আলোচনার জন্য প্রতিনিধি দল পাঠানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বৈঠক ডেকেছেন ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। বিভিন্ন গণমাধ্যম বলছে, যুদ্ধবিরতির সময় বাড়াতে ও উপত্যকায় ত্রাণ পৌঁছানোর বিষয়ে সম্মত হয়েছে ইসরাইল-যুক্তরাষ্ট্র।
গাজায় আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের প্রতি ইসরাইলের নজিরবিহীন অবহেলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘ। সংস্থাটির মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক বলেন, উপত্যকাটিতে নেতানিয়াহু বাহিনীর সামরিক অভিযান কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
অন্যদিকে পশ্চিম তীরের নূর শামস শরণার্থী শিবির থেকে সবাইকে সরে যেতে নির্দেশ দিয়েছে ইসরাইল। নেতানিয়াহু বাহিনীর এমন ঘোষণার পর আশ্রয় কেন্দ্র ছাড়তে শুরু করেছেন সেখানকার বাসিন্দারা। তারা জানান, শরণার্থী শিবিরের বেশকিছু স্থাপনা গুঁড়িয়ে দিয়ে সেখানে রাস্তা বানানোর পরিকল্পনা আছে ইসরাইল।
আপন দেশ/জেডআই
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।