
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ধর্ষকের দ্রুত ও কঠোর বিচার কার্যকর করার বিধান চালু রয়েছে। ছবি: সংগৃহীত
বিশ্বব্যাপী ভয়ংকর অপরাধের অন্যতম একটি ‘ধর্ষণ’। ধর্ষণের ঘটনায় ভুক্তভোগী শারীরিক নিপীড়ন সহ্য করার পাশাপাশি মানসিকভাবেও ভেঙে পড়ে। বিনা দোষে সমাজে হেয় ওলজ্জিতও হতে হয় ধর্ষণের শিকার মানুষটিকে।
তাই জণগণের নিরাপত্তা দিতে ভয়াবহ এ অপরাধের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির বিধান রেখেছে বিশ্বের একাধিক রাষ্ট্র। শুধু তাই নয়, ধর্ষণের ঘটনায় ভুক্তভোগীকে দ্রুত বিচারের নিশ্চয়তা দিতে বিভিন্ন দেশের সরকার কঠোর আইনের ব্যবস্থা রেখেছেন।
আসুন এক নজরে জেনে নিই এমন কয়েকটি দেশের নাম, যে দেশে ধর্ষণের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দ্রুততর সময়ের মধ্যে করার বিধান রয়েছে-
১। চীন: ধর্ষণের ঘটনায় কোনো কাল ক্ষেপন করে না এশিয়ার বৃহত্তম দেশ চীন। বিচারকার্য দীর্ঘ হওয়ার সুযোগ না দিয়ে সরাসরি ধর্ষণের ঘটনায় মেডিকেল পরীক্ষায় পাঠানো হয় ধর্ষিতা ও ধর্ষণে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে। মেডিকেল পরীক্ষার ফলাফলে ধর্ষক চিহ্নিত হলেই সঙ্গে সঙ্গে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয় চীনে। ক্ষেত্র বিশেষে ধর্ষকের অপরাধ গুরুতর হলে তার যৌনাঙ্গ কেটে দেয়া হয়। এরপর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
২। আফগানিস্তান: মধ্যপ্রাচ্যের দেশ আফগানিস্তানে ধর্ষণের বিচার ৪ দিনের মধ্যে কার্যকর হয়ে থাকে। এ দেশে ধর্ষকের শাস্তি সরাসরি মাথায় গুলি করে মেরে ফেলার বিধান রয়েছে।
৩। উত্তর কোরিয়া: ধর্ষণের ঘটনায় উত্তর কোরিয়া কঠোর নীতি মেনে চলে। দেশটিতে ধর্ষককে দ্রুততম সময়ে ফায়ারিং স্কোয়ার্ডে নিয়ে গিয়ে মাথায় গুলি করে মেরে ফেলা হয়।
৪। সৌদিআরব: কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণিত হলে সৌদি আরবে জনসম্মুখে আনা হয় ধর্ষককে। এরপর মাথা কেটে ফেলে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়ে থাকে।
৫। সংযুক্ত আরব আমিরাত: ধর্ষণের ঘটনার বিচার সাত দিনের মধ্যে শেষ করার বিধান রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতে। ধর্ষণের বিচার মৃতুদণ্ড।
৬। পোল্যান্ড: হিংস্র বুনো শুয়োরের খাঁচায় ফেলে ধর্ষকের মৃত্যুদন্ড কার্যকর করার বিধান রয়েছে পোল্যান্ড দেশটিতে।
আরও পড়ুন>>>থাইল্যান্ডের কর্মকর্তাদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞা
এছাড়া মিশর, কুয়েত, ইরান, কাতারে ধর্ষকের একমাত্র শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দেয়ার বিধান রয়েছে।
লিঙ্গচ্ছেদ: মৃত্যদণ্ড না দিয়ে লিঙ্গ কেটে ফেলার বিধান চালু রয়েছে জার্মানি, সুইজারল্যান্ড, ইউক্রেন, থাইল্যান্ড, যুক্তরাজ্য, আর্জেন্টিনা, অস্ট্রেলিয়ার মতো উন্নত দেশগুলোতে।
বিভিন্ন দেশের কঠোর নীতি অনুসরণ করে বাংলাদেশেও ধর্ষণ প্রতিরোধে আইনের সংস্কার করার প্রয়োজন বলে মনে করছেন জনগণ। দ্রুত সময়ে ধর্ষককে জনসম্মুখে এনে মৃত্যদণ্ড বা লিঙ্গচ্ছেদের শাস্তির বিধান চালু করা হলে ন্যক্কারজনক ঘটনার পুনরাবৃত্তি দেশে ঘটবে না এমনটাই মনে করছেন সমাজ বিশ্লেষকরা।
আপন দেশ/এমবি
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।