ফাইল ছবি
আফ্রিকান দেশ সুদানে বিবদমান দুই গ্রুপের মধ্যে ২৪ ঘণ্টার জন্য যুদ্ধবিরতি চলছে।
দেশটির রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোতে সেনাবাহিনীর নিয়মিত সৈন্য এবং আধা-সামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সের (আরএসএফ) সদস্যদের মধ্যে চলা সংঘর্ষের বিরতি শনিবার (১০ জুন) স্থানীয় সময় সকাল ৬টা থেকে শুরু হয়েছে।
সৌদি আরবের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শুক্রবার (৯ জুন) বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
সম্প্রতি বেশ কয়েকবার ব্যর্থ চেষ্টার পর সুদানের সেনাবাহিনীর সঙ্গে র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস এর মধ্যে এই যুদ্ধবিরতি সম্ভব হয়েছে। রিয়াদ ও ওয়াশিংটনের মধ্যস্ততায় উভয়পক্ষ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছেন।
সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বার্তায় বলা হয়েছে, এর আগে বেশ কয়েকবার যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিয়ে দুই পক্ষই শর্তভঙ্গ করেছে। তবে এবার তারা আন্দোলন, বিমান বা ড্রোন ব্যবহার, বিমান হামলা, আর্টিলারি স্ট্রাইক থেকে বিরত থাকবে। যুদ্ধবিরতির সময় নিরবচ্ছিন্ন চলাচল এবং মানবিক সহায়তা প্রদানের সহায়তা করতে রাজি হয়েছে বিবাদমান দুই পক্ষ।
মধ্যস্থতাকারীরা বলেন, যুদ্ধের ভয়াবহতার মানবতার যে সংকট তৈরি হয়েছে তাতে ছেদ ফেলতেই যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবনা দেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে সেনাবাহিনী যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবনার সঙ্গে একমত হয়েছে। তবে আরএসএফের পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি।
এদিকে যুদ্ধবিরতিতে বিন্দুমাত্র ভরসা নেই খার্তুমের অধিবাসীদের। তাদের আশঙ্কা, শনিবারের জন্য যে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়েছে তা এর আগের বারের মতই ভঙ্গ করা হবে।
আল-জাজিরার সাংবাদিক হিবা মরগান জানান, জরুরি প্রয়োজনে মানবিক সাহায্য দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়ার জন্যই যুদ্ধবিরতি দেয়া হয়েছে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। তবে কারো আস্থা নেই যুদ্ধবিরতিতে। তাদের ধারণা, দুই পক্ষই খুব শীঘ্রই আবার যুদ্ধে জড়াবে।
জাতিসংঘ বলছে, সুদানের অর্ধেকের বেশি (প্রায় আড়াই কোটি) মানুষ এখন যুদ্ধের কারণে মানবিক সংকটের ভেতর রয়েছে।
আপন দেশ/জেডআই
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।