ছবি: সংগৃহীত
সুদানের রাজধানী খার্তুমে বিমান হামলায় ১৭ জন নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে পাঁচজন শিশু রয়েছে। রোববার (১৮ জুন) এক প্রতিবেদনে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ তথ্য জানিয়েছে। শনিবারের (১৭ জুন) এই হামলায় ঘনবসতিপূর্ণ ইয়ারমুক জেলায় ২৫টি বাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে।
এর আগে সুদানের আধা-সামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সের (আরএসএফ) বিরুদ্ধে হামলা বাড়ানোর হুমকি দিয়েছিলেন দেশটির সেনাবাহিনীর এক শীর্ষ কর্মকর্তা। ওই ঘোষণার একদিন পরই এ বিমান হামলার ঘটনা ঘটল।
শনিবার সংঘাতরত উভয়পক্ষ ৭২ ঘণ্টার অস্ত্রবিরতিতে সম্মত হয়। স্থানীয় সময় রোববার সকাল ৬টা থেকে এই অস্ত্রবিরতি কার্যকর হওয়ার কথা। সৌদি ও মার্কিন এই সিদ্ধান্তের মধ্যস্থতা করে।
এদিকে দুই বাহিনীর সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত কতজন মানুষ নিহত হয়েছেন, সুনির্দিষ্টভাবে এই সংখ্যা জানা কঠিন। তবে সংঘাতে অনেক বেসামরিকসহ এই এক হাজারের বেশি বলে মনে করা হচ্ছে।
জাতিসংঘের মতে, দেশটির প্রায় ২২ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। পাঁচ লাখেরও বেশি মানুষ প্রতিবেশী দেশে আশ্রয় নিচ্ছে।
আরএসএফের মতে, সাম্প্রতিক হামলাটি মেয়ো, ইয়ারমুক এবং ম্যান্ডেলা এলাকায় বেসামরিকদের লক্ষ্য করে চালানো হয়েছিল। তবে সেনাবাহিনী এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
২০২১ সালের অক্টোবরে সামরিক অভ্যুত্থানের পর সুদানের নেতৃত্ব দিচ্ছেন জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান। তার সঙ্গে উপনেতা হিসেবে রয়েছেন আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের প্রধান মোহাম্মদ হামদান হেমেডটি দাগালো। আগামীতে দেশটি কীভাবে পরিচালিত হবে তা নিয়ে এই দুই নেতার মধ্যে বিরোধ তৈরি হয়। বিশেষ করে দেশটির বেসামরিক শাসনে ফিরে যাওয়ার প্রস্তাবনা নিয়ে তারা ভিন্ন অবস্থান গ্রহণ করেন।
এ ছাড়া এক লাখ সদস্যের র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসকে সেনাবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা এবং পরে নতুন এই বাহিনীর নেতৃত্বে কে থাকবে সে বিষয় নিয়ে দুই জেনারেলের মধ্যে মতবিরোধের জেরেই লড়াই শুরু হয়। গত ১৫ এপ্রিল থেকে শুরু হয় এই লড়াই।
আপন দেশ/আরএ
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।