ফাইল ছবি
বলা হয় সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকগুলোতে অবিশ্বাস্য গতিতে কমেছে বাংলাদেশিদের আমানত। মাত্র এক বছরেই সুইস ব্যাংকগুলো থেকে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা সরিয়ে নিয়েছে বাংলাদেশি নাগরিক এবং এ দেশের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশের ডলার সংকট এ ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রেখেছে। কেউ কেউ পাচার করা টাকাও হয়তো সরিয়ে নিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২২ জুন) দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুইস ন্যাশনাল ব্যাংক (এসএনবি) বিশ্বের সব দেশের সঙ্গে ২০২২ সালে তাদের ব্যাংকগুলোর দায় ও সম্পদের পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে।
খবরটি নিয়ে বণিক বার্তার শিরোনাম - সুইস-ব্যাংকে-জমা-বাংলাদেশীদের-অর্থ-কমেছে-৯৩.৬৫
পত্রিকাটি বলছে সুইজারল্যান্ডের বিভিন্ন ব্যাংক বা সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশীদের জমা রাখা অর্থের পরিমাণ উল্লেখযোগ্য হারে কমে গেছে। ২০২২ সালে বাংলাদেশীরা দেশটির বিভিন্ন ব্যাংকে জমা করেছেন ৫ কোটি ৫২ লাখ ৬৮ হাজার সুইস ফ্রাঁ। এক বছরে যা প্রায় ৮২ কোটি সুইস ফ্রাঁ বা ৯৩ দশমিক ৬৫ শতাংশ কমে গেছে।
আর মানবজমিনের প্রধান শিরোনাম- সুইস ব্যাংক থেকে সাড়ে ১০ হাজার কোটি টাকা সরিয়েছেন বাংলাদেশিরা।
২০২১ সালে যেখানে বাংলাদেশি আমানত ছিলো ৮৭ কোটি ১১ লাখ সুইস ফ্রাঁ, ২০২২ সালের শেষে তা কমে এসেছে মাত্র সাড়ে পাঁচ কোটি ফ্রাঁতে। সুইজারল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বার্ষিক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এ তথ্য। এক বছরে এতো বিপুল পরিমাণ টাকা উত্তোলন করে বাংলাদেশিরা কী করেছে, তার কোনো ব্যাখ্যা নেই প্রতিবেদনে।
Foreign debt soars to $95.71b – ইংরেজি দৈনিক নিউ এজ প্রধান শিরোনাম করেছে এটি।
তারা বলছে ২০২৩ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত বাংলাদেশের বিদেশি ঋণের পরিমাণ গিয়ে দাড়িয়েছে ৯৫.৭১ বিলিয়ন ইউএস ডলার। ৩ বছরে ঋণের পরিমাণ বেড়েছে প্রায় ৩২ বিলিয়ন। বাংলাদেশের ব্যাংকের সূত্রে প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে মাথাপিছু ঋণের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৬১ ডলারের বেশি। পত্রিকাটি বলছে মূলত বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প যে বৈদেশিক ঋণ নির্ভর তারই প্রমাণ এটি।
আপন দেশ/এবি/সূত্র: বিবিসি নিউজ বাংলা
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।