ফাইল ছবি
নির্বাচনে পরাজয়ের দুই মাস পর থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুত চ্যান ওচা রাজনীতি থেকে অবসরে যাওয়ার ঘোষণা দিলেন। তার এই ঘোষণার ফলে থাইল্যান্ডে গণতন্ত্রের জয় হলো। তবে দেশটিতে নতুন সরকার গঠন না হওয়া পর্যন্ত প্রায়ুত চ্যান ওচা তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করবেন। সূত্র: রয়টার্স।
সেনা-সমর্থিত ইউনাইটেড থাই নেশন পার্টি গত ১৪ মের নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পর এই ঘোষণা ছিল প্রত্যাশিত। নির্বাচনে সংসদের ৫০০ আসনের মধ্যে মাত্র ৩৬টিতে জয় পেয়েছিল ইউনাইটেড থাই নেশন পার্টি।
আগামী বৃহস্পতিবার থাইল্যান্ডের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী কে হবেন, তা নিয়ে ভোটাভুটির জন্য দেশটির সংসদে অধিবেশন বসবে। এর মাঝেই ওচার রাজনীতি ছাড়ার এই ঘোষণা এলো।
৯ বছর আগে রক্তক্ষয়ী অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসা থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুত চ্যান ওচা রাজনীতি থেকে অবসরে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। প্রায় ৯ বছর ধরে দেশটির ক্ষমতায় থাকার পর মঙ্গলবার (১১ জুলাই) রাজনীতি ছাড়ার এই ঘোষণা দিয়েছেন। তবে রাজনীতি ছাড়লেও সরকারের কিছু দায়িত্বে সাময়িকভাবে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ওচা।
২০১৪ সালে সহিংস অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরকার হটিয়ে থাইল্যান্ডের ক্ষমতা গ্রহণ করেন তৎকালীন সেনাপ্রধান প্রায়ুত। ৬৯ বছর বয়সী প্রায়ুত দেশটির নতুন রাজনৈতিক দল ইউনাইটেড থাই নেশন পার্টির নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন।
থাইল্যান্ডের সাবেক সেনাপ্রধান ও রাজতন্ত্রের কট্টর অনুসারী প্রায়ুত ২০১৯ সালের বিতর্কিত এক নির্বাচনের মাধ্যমে নিজের ক্ষমতায় থাকার পথ দৃঢ় করেছিলেন। ওই নির্বাচনের ফল পরিকল্পনা অনুযায়ী সাজানো ছিল বলে দেশটির বিরোধী রাজনীতিকরা দাবি করেন।
এক বিবৃতিতে প্রায়ুত বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আমি থাইল্যান্ডের প্রিয় জনগণের স্বার্থে জাতি, ধর্ম, রাজতন্ত্র রক্ষায় কঠোর পরিশ্রম করেছি। যা বর্তমানে জনগণের জন্য ফল বয়ে আনছে।
আপন দেশ/এমআর/জেডআই
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।