ফাইল ছবি
অক্টোবরে পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচন। যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। বলেছেন, তার সরকার আগামী মাসে ভেঙে যাবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে শাসনভার হস্তান্তর করা হবে।
জাতির উদ্দেশে বৃহস্পতিবার টেলিভিশনে ভাষণে এসব জানান পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী।
পাকিস্তানের পার্লামেন্টের দ্বিকক্ষবিশিষ্ট। সংবিধান অনুযায়ী প্রতি পাঁচ বছর পর পর অনুষ্ঠিত হবে সাধারণ নির্বাচন। বর্তমান পার্লামেন্টের মেয়াদ শেষ হবে ১৩ আগস্ট।
২০১৮ সালের ১৮ আগস্ট হওয়া নির্বাচনে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)-এর চেয়ারম্যান ইমরান খান প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। তবে পাকিস্তানের রাজনৈতিক ঐতিহ্য বজায় রেখে ইমরান খানও পাঁচ বছরের মেয়াদ পূর্ণ করতে পারেননি।
গত বছরের এপ্রিলে অনাস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত হন ইমরান খান। তারপর পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন)-এর প্রেসিডেন্ট শাহবাজ শরিফ পাক মসনদে বসেন। শাহবাজ ১১টি দলের জোটের সমর্থনে নির্বাচিত হন; যা পাকিস্তান ডেমোক্র্যাটিক মুভমেন্ট নামে পরিচিত।
আরও পড়ুন <<>> পাকিস্তানে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে বহুতল ভবন ধস, নিহত ৬
ইমরান খান তার সরকার পতনের জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে দায়ী করেন। ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকেই নানা কর্মসূচির মাধ্যমে শাহবাজ সরকারকে আগাম নির্বাচনের জন্য চাপ দিতে থাকেন তিনি।
পাকিস্তানের সংবিধান অনুযায়ী, নিম্নকক্ষ পাঁচ বছরের মেয়াদের জন্য নির্বাচিত হয়। নতুন নির্বাচনের আগে ম্যান্ডেটসহ একটি ‘অরাজনৈতিক’ সরকারকে ক্ষমতায় বসানো হয়। তাদের তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত হয় নির্বাচন।
শাহবাজ বলেন, গত বছরের এপ্রিলে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে জাতি আমাকে দেশ পরিচালনার পবিত্র দায়িত্ব দেয়। সংবিধান অনুযায়ী ২০২৩ সালের আগস্টে এই দায়িত্ব তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ফিরিয়ে দেব।
আপন দেশ/এবি
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।