
ফাইল ছবি
বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে ৬৪ জেলা থেকে ২ হাজার প্রার্থী নিয়োগ দেয়া হবে। আবেদন শেষে বিভিন্ন জেলার প্রার্থীদের শারীরিক মাপ, কাগজপত্র যাচাই, শারীরিক সহনশীলতা পরীক্ষা, লিখিত পরীক্ষা ও মনস্তাত্ত্বিক ও মৌখিক পরীক্ষা আলাদাভাবে নেয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে কয়েকটি জেলায় পরীক্ষা নেয়া হয়েছে। আরও কয়েকটি জেলার পরীক্ষা নেয়া বাকি রয়েছে।
কনস্টেবল হিসেবে নিয়োগ পেতে চাইলে শারীরিক সক্ষমতা যাচাই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পাশাপাশি লিখিত ও মনস্তাত্ত্বিক ও মৌখিক পরীক্ষায় পাস করতে হবে। শারীরিক মাপ, কাগজপত্র যাচাই ও শারীরিক সক্ষমতা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের বিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত তারিখে বাংলা, ইংরেজি, সাধারণ গণিত ও সাধারণ বিজ্ঞানের ওপর মোট ৪৫ নম্বরের লিখিত পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে। আর লিখিত পরীক্ষায় পাস করলে ১৫ নম্বরের মনস্তাত্ত্বিক ও মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে। লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য করণীয় সম্পর্কে এখানে আলোচনা করা হলো।
পুলিশের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ৬৪ জেলা থেকে ২ হাজার প্রার্থী নিয়োগ দেয়া হবে। জেলাভিত্তিক শূন্য পদ অনুসারে সবচেয়ে বেশি প্রার্থী নেয়া হবে ঢাকা জেলা থেকে—১৬৭ জন। এরপর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ চট্টগ্রাম জেলা থেকে ১০৬ জনকে নেয়া হবে।
এ ছাড়া গাজীপুর জেলায় নেওয়া হবে ৪৭ জন, মানিকগঞ্জে ১৯, মুন্সিগঞ্জে ২০, নারায়ণগঞ্জে ৪১, নরসিংদীতে ৩১, ফরিদপুরে ২৭, গোপালগঞ্জে ১৬, মাদারীপুরে ১৬, রাজবাড়ীতে ১৫, শরীয়তপুরে ১৬, কিশোরগঞ্জে ৪১, টাঙ্গাইলে ৫০, ময়মনসিংহে ৭১, জামালপুরে ৩২, নেত্রকোনায় ৩১, শেরপুরে ১৯, বান্দরবানে ৫, কক্সবাজারে ৩২ জন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় নেয়া হবে ৩৯ জন, চাঁদপুরে ৩৪, কুমিল্লায় ৭৫, খাগড়াছড়িতে ৯, ফেনীতে ২০, লক্ষ্মীপুরে ২৪, নোয়াখালীতে ৪৩, রাঙামাটিতে ৮, রাজশাহীতে ৩৬, জয়পুরহাটে ১৩, পাবনায় ৩৫, সিরাজগঞ্জে ৪৩, নওগাঁয় ৩৬, নাটোরে ২৪, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ২৩, বগুড়ায় ৪৭, রংপুরে ৪০, দিনাজপুরে ৪২, গাইবান্ধায় ৩৩, কুড়িগ্রামে ২৯, লালমনিরহাটে ১৭, নীলফামারীতে ২৫, পঞ্চগড়ে ১৪, ঠাকুরগাঁওয়ে ১৯, খুলনায় ৩২, যশোরে ৩৮, ঝিনাইদহে ২৫, মাগুরায় ১৩, নড়াইলে ১০, বাগেরহাটে ২০, সাতক্ষীরায় ২৮, চুয়াডাঙ্গায় ১৬, কুষ্টিয়ায় ২৭, মেহেরপুরে ৯, বরিশালে ৩২, ভোলায় ২৫, ঝালকাঠিতে ৯, পিরোজপুরে ১৫, বরগুনায় ১২, পটুয়াখালীতে ২১, সিলেটে ৪৮, মৌলভীবাজারে ২৭, সুনামগঞ্জে ৩৪ ও হবিগঞ্জে ২৯ জন কনস্টেবল নিয়োগ দেয়া হবে।
লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য করণীয়
বাংলা—
ব্যাকরণ ও রচনায় দক্ষতা বাড়াতে নিয়মিত অনুশীলন করুন। বাগধারা, সমাস, বিপরীত শব্দের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর ওপর মনোযোগ দিন। রচনার ক্ষেত্রে সঠিক কাঠামো অনুসরণ করে লিখুন। অনুবাদে বাংলা ও ইংরেজি শব্দভান্ডার উন্নত করুন।
ইংরেজি—
ব্যাকরণের মূল বিষয়গুলো যেমন টেন্স, ভয়েস, ন্যারেশন, পার্টস অব স্পিচ পরিষ্কারভাবে আয়ত্ত করুন। দৈনিক ইংরেজি পত্রিকা পড়ুন ও শব্দভান্ডার বৃদ্ধি করুন। অনুবাদে দক্ষতা অর্জন করতে বাংলা থেকে ইংরেজি ও ইংরেজি থেকে বাংলা অনুবাদ করুন।
গণিত—
নিয়মিত গণনার অনুশীলন করুন, বিশেষ করে লাভ-ক্ষতি, শতকরা, বর্গমূল, অনুপাত-সমানুপাত, বেসিক বীজগণিত ও জ্যামিতির মতো সমস্যা। প্রতিটি সমস্যার সমাধানের আগে সূত্রগুলো ভালোভাবে মনে রাখুন। সঠিক কৌশল অনুসরণ করুন।
সাধারণ বিজ্ঞান—
বিজ্ঞান বিষয়গুলো প্রতিদিন পড়ুন ও জীবনের সঙ্গে সম্পর্কিত ধারণাগুলো বুঝে নিন। শারীরিক, রাসায়নিক ও জীববিজ্ঞানের মূল বিষয়গুলো আয়ত্ত করে নিয়মিত প্রশ্ন সমাধান করুন।
মৌখিক পরীক্ষার প্রস্তুতি
মৌখিক পরীক্ষায় সাধারণত নিজের পরিচয়, পরিবার, শিক্ষাজীবন, পুলিশের ভূমিকা, আইনশৃঙ্খলা সম্পর্কে জ্ঞান, দেশ-বিদেশের সাম্প্রতিক ঘটনা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়। এ ছাড়া ‘কেন পুলিশ হতে চান’—এ প্রশ্নের উত্তর জানতে চাওয়া হয়।
প্রস্তুতির জন্য করণীয়
আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে প্রশ্ন করে নিজেই উত্তর দিন। আত্মবিশ্বাসী হয়ে হাসিমুখে কথা বলার অভ্যাস গড়ে তুলুন। পুলিশের ইতিহাস, কাজের ধরন ও সংবিধান সম্পর্কে পড়তে হবে। বাংলা ও ইংরেজি—দুই ভাষাতেই নিজের সম্পর্কে কয়েকটি লাইন আগে থেকেই প্রস্তুত করে রাখুন। বিভিন্ন বিষয়ে ছোট ছোট নোট তৈরি করুন। সময় ভাগ করে পড়ুন। সব সময় ইতিবাচক মনোভাব রাখুন, সফলতা আসবে।
আপন দেশ/এমবি
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।