ফাইল ছবি
ঢাকা: বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পরিবারের তরফ থেকে যে আবেদন করা হয়েছিল, তা নিষ্পত্তি হয়ে গেছে। তাঁকে (খালেদা জিয়া) পরিবার চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে নিয়ে যেতে চাইলে আরেকটি দরখাস্ত করতে হবে। নতুন দরখাস্ত করলে আগের আদেশটি প্রত্যাহার করতে হবে। আজ সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল এসব কথা বলেন।
এর আগে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর ব্যাপারে আইনের বিদ্যমান অবস্থান থেকে সরকারের কিছু করার নেই।
আইনমন্ত্রীর বক্তব্য শুনেছেন জানিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন সাংবাদিকদের বলেন, ইতোমধ্যে খালেদা জিয়ার পরিবার যে দরখাস্ত করেছিলেন, সেই দরখাস্ত নিষ্পত্তি করে ওনার (খালেদা জিয়া) সাজার স্থগিতের মেয়াদ ছয় মাসের জন্য বাড়ানো হয়েছে। এখন যদি ওনারা বলেন, চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে নিয়ে যাবেন, তাহলে তাঁদের আরেকটি দরখাস্ত করতে হবে। আর সেই দরখাস্ত যদি করা হয়, তাহলে আগের আদেশটি প্রত্যাহার করতে হবে। প্রত্যাহার করে নতুন আদেশ জারি করতে হবে। সে ক্ষেত্রে কিন্তু কিছুটা জটিলতা আছে। প্রত্যাহার হলে উনি (খালেদা জিয়া) তো বাইরে থাকতে পারবেন না।…নতুন দরখাস্ত করা হলে আগের নির্বাহী আদেশ বাতিলের কথা বলেছেন আইনমন্ত্রী। তাহলে ওনাকে আগের জায়গায় (কারাগার) ফিরে যেতে হবে, তারপর ওনারা দরখাস্ত করতে পারেন।’
বর্তমান অবস্থায় কোনোভাবে বিদেশে যাওয়ার সুযোগ আছে কি- এমন প্রশ্নে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘ইতোপূর্বে করা আবেদনটি নিষ্পত্তি হয়ে গেছে। এখন নতুন আবেদন হলে আগেরটি প্রত্যাহার করতে হবে না? উনি (খালেদা জিয়া) যে জায়গায় আছেন, সে অবস্থানে থেকে হবে না। নতুন আবেদন হলে নতুনভাবে বিবেচনা করতে হবে।’
নতুন করে আবেদন করলে তাঁকে (খালেদা জিয়া) কি আবার কারাগারে যেতে হবে—এমন প্রশ্নের জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘আগেরটা প্রত্যাহার হয়ে গেলে, ওনার (খালেদা জিয়া) অবস্থানটা কী হবে? আগেরটা বাতিল করে নতুনটি করতে হবে। প্রত্যাহার হলে ওনার অবস্থানটা কোথায় হবে?’
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত খালেদা জিয়া ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাবন্দী হন। দুই বছরের বেশি সময় কারাবন্দী ছিলেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া।
২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকার নির্বাহী আদেশে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করে তাঁকে শর্ত সাপেক্ষে মুক্তি দেয়। এর পর থেকে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ছয় মাস পরপর তাঁর সাজা স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ বাড়াচ্ছে সরকার। সর্বশেষ কিছুদিন আগে খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করে তাঁর মুক্তির মেয়াদ ছয় মাস বাড়ানো হয়েছে। বিএনপির নেতারা উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর দাবি জানিয়ে আসছেন।
আপন দেশ/এবি
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।