প্রতীকী ছবি
হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ বলেছেন, নির্বাচন আল্লাহর হুকুমে হচ্ছে, কারণ সবকিছু তার হুকুমেই হয়। আগামী ৭ জানুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে একটি রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রোববার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।
রিট আবেদনের শুনানিকালে বেঞ্চ বলেন, সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের সময় সংক্রান্ত বিষয়গুলো ইতোমধ্যে সুপ্রিম কোর্ট নিষ্পত্তি করেছে।
বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম শুনানিকালে বলেন, রিট আবেদনের বিষয়বস্তু সাংবিধানিক বিষয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বলে আমরা আইন অনুযায়ী বিষয়টি দেখব।
হাইকোর্ট বেঞ্চ এ বিষয়ে শুনানি শুরুর জন্য আগামীকাল সোমবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুর ২টা সময় নির্ধারণ করেছেন।
রিট আবেদনকারী অ্যাডভোকেট মো. ইউনুস আলী আকন্দ হাইকোর্ট বেঞ্চকে বলেন, সংবিধানের ১২৩ (৪) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য আরও পাঁচ মাস সময় ছিল। কিন্তু নির্বাচন কমিশন তড়িঘড়ি করে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন করতে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন <<>> ভোল পাল্টে বিএনপির বিতাড়িতরা ভোটের মাঠে
সংবিধানে বলা আছে, সংসদ ভেঙে যাওয়া ছাড়া অন্য কোনো কারণে সংসদের কোনো সদস্যপদ শূন্য হইলে পদটি শূন্য হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে ওই শূন্যপদ পূরণ করার জন্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
তবে শর্ত আছে যে, যদি প্রধান নির্বাচন কমিশনারের মতে, কোনো দৈব-দুর্বিপাকের কারণে এই দফার নির্ধারিত মেয়াদের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব না হয়, তাহলে ওই মেয়াদের শেষ দিনের পরবর্তী নব্বই দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
রিটকারী আইনজীবী আরও বলেন, অনেক স্বতন্ত্র প্রার্থী সময় কম থাকায় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেননি।
এছাড়া তত্ত্বাবধায়ক সরকার সংক্রান্ত মামলার রায়ে আপিল বিভাগের নির্দেশনায় নির্বাচনকালীন সরকার ছোট করার কথা থাকলেও বর্তমান মন্ত্রিসভা ছোট করা হয়নি বলেও জানান তিনি।
অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন রিট আবেদনের বিরোধিতা করে বলেন, দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য ইসির তফসিল ঘোষণায় কোনো আইন ভঙ্গ হয়নি।
আরও পড়ুন<<>> এক মিনিটের জন্য ছেড়া ‘বস্তার ব্যবসায়ি’ এমপি হবার স্বপ্ন ভঙ্গ
সংবিধানের ১২৩ (৩) অনুচ্ছেদের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, মেয়াদ শেষের কারণে সংসদ ভেঙে দেয়ার আগের ৯০ দিনের মধ্যে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
গত ১৫ নভেম্বর জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়ে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী আব্দুল আওয়াল। গত ৩০ নভেম্বর ছিল মনোনয়ন দাখিলেন শেষ সময়। বাছাই চলছে ১ ডিসেম্বর থেকে, চলবে ৪ তারিখ নাগাদ।মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষদিন ১৭ ডিসেম্বর। ১৮ ডিসেম্বর থেকে প্রচারণা চালানো যাবে।
নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধিত চুয়াল্লিশটি দলের মধ্যে সতেরটি দল ভোট বর্জন করেছে। আর অংশ নিচ্ছে আওয়ামী লীগসহ ২৭টি দল। তবে উভয় পক্ষে অনিবন্ধিত দলের সংখ্যাও রয়েছে অর্ধডজনখানেক।
আপন দেশ/এবি
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।