ছবি: সংগৃহীত
আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল নাগরিক আইনি সহায়তা পাবেন। আইনি সহায়তা তার প্রতি করুণা নয়, বরং তার অধিকার। কারণ বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশের মূল সংবিধানেই গণতন্ত্র, মানবাধিকার, সামাজিক সুবিচার প্রক্রিয়ায় সকল নাগরিকের প্রবেশাধিকারের বিধান সন্নিবেশ করেছেন। বলেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
রোববার (২৮ এপ্রিল) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এসব কথা বলেন। জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবসে দু’জনকে সেরা লিগ্যাল এইড অফিসার ও প্যানেল আইনজীবী হিসেবে পুরস্কৃত করা হয়।
আইনমন্ত্রী দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যাকাণ্ডের পর দীর্ঘ একুশটি বছর অস্বচ্ছল মানুষগুলো আইনি সহায়তা পায়নি। কেউ সেদিকে কেউ দৃষ্টি দেয়নি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ। তিনি প্রথমবার সরকার গঠন করেই ‘আইনগত সহায়তা প্রদান আইন’ প্রণয়ন করেন। ফলে দেশে প্রথম রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় অসচ্ছল, সম্বলহীন নাগরিকদের আইনগত অধিকার সুপ্রতিষ্ঠিত হয়।
তিনি বলেন, উপজেলা ও ইউনিয়ন লিগ্যাল এইড কমিটিকে অধিকতর কার্যকর করতে হবে। কারাগারগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াতে হবে। পুঁথিগত আইন প্রয়োগের পাশাপাশি সামাজিক ও মানবিক দৃষ্টিকোণকেও স্থান দেয়া উচিত। প্রত্যেক লিগ্যাল এইড কমিটি, অফিসার ও প্যানেল আইনজীবীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।
আরও পড়ুন>> ‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক নয়’
তিনি আরও বলেন, লিগ্যাল এইড অফিসাররা ২০১৫ সালের জুলাই থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত ১ লাখ ১০ হাজার ৮৩৬ বিরোধ নিষ্পত্তি করেছেন। তারা যেহেতু বিচারক ও আইনি বিধি-বিধানের অধীনে মধ্যস্থতা করেন, তাই লিগ্যাল এইড অফিসগুলো এখন বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তিতে মানুষের আস্থার প্রতীকে পরিণত হয়েছে। এ আস্থা আমাদের ধরে রাখতে হবে। এ আস্থা আমাদের আরও মজবুত করতে হবে।
আপন দেশ/এবি/এসএমএ
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।