সংগৃহীত ছবি
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দশ বছরের সাজার রায়ের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার আপিলের শুনানি তৃতীয় দিনের জন্য মুলতবি করা হয়েছে। বুধবার (০৮ জানুয়ারি) সকালে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারকের আপিল বেঞ্চে দ্বিতীয় দিনের শুনানি শুরু হয়। চলে বেলা সোয়া ১টা পর্যন্ত। পরে বৃহস্পতিবার (০৯ জানুয়ারি) বিষয়টি পরবর্তী শুনানির জন্য রাখা হয়।
খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ অ্যাডভোকেট রুহুল কুদ্দুস কাজল, জয়নুল আবেদীন, বদরুদ্দোজা বাদল, এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন ও অ্যাডভোকেট কায়সার কামাল। এছাড়া অ্যাডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজল, আমিনুল ইসলাম, নাসির উদ্দিন অসীম, মাহবুবুর রহমান খানসহ আরও কয়েকজন আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন। দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আসিফ হোসাইন।
খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা বলেন, এ মামলায় খালেদা জিয়ার কোনো ‘সংশ্লিষ্টতাই ছিল না’। কেবল ‘রাজনৈতিক কারণে’ তাকেসহ পরিবারের সদস্যদের আসামি করা হয়েছে।
অ্যাডভোকেট রুহুল কুদ্দুস কাজল এ মামলায় খালেদা জিয়ার আপিল মঞ্জুরের পাশাপাশি যারা আপিল করেননি তাদেরও খালাস দেয়ার আবেদন জানান।
অ্যাডভোকেট বদরুদ্দোজা বাদল বলেন, এ মামলার যাবতীয় ঘটনার উল্লেখ করা হয়েছে ১৯৯১ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত। যতদিন খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। কিন্তু ২০০৪ সালের দুর্নীতি দমন আইনে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। এ কারণে এ মামলার প্রক্রিয়াটা সঠিক ছিল না।
তার যুক্তি ২০০৪ সালের দুর্নীতি দমন আইন যেহেতু আইনটি কার্যকরের পর থেকে প্রযোজ্য। সেহেতু এ মামলা এ আইনে হতে পারে না।
তবে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনীক আর হক এর বিরোধিতা করেন। তার ভাষ্য, এটি ‘সাবস্টেন্টিভ ল’ নয়, ‘প্রসিজিয়ার্যাল ল’। তাই দুদক আইনে অভিযোগ দায়েরে আইনের ব্যত্যয় হয়নি।
এ মামলার বিবরণে কোথাও খালেদা জিয়া কোনো স্বাক্ষর করার কথা উল্লেখ নেই বলে শুনানিতে দাবি করেন অ্যাডভোকেট এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন।
বুধবারের শুনানিতে অ্যাডভোকেট কায়সার কামাল বলেছিলেন, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের যে অর্থ আত্মসাতের কথা বলা হয়েছে। সে অর্থ ব্যাংকে সুরক্ষিত আছে। একই সঙ্গে ২ কোটি ৩৩ লাখ থেকে বেড়ে ৮/৯ কোটি টাকা হয়েছে।
আপন দেশ/এমবি
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।