
ফাইল ছবি।
অননুমোদিত আর্থিক ক্ষুদ্র ঋণদানকারী প্রতিষ্ঠান, সমবায় সমিতি ও ব্যক্তি পর্যায়ে চড়া সুদে লেনদেনসহ দাদন ব্যবসা প্রতিরোধ ও মনিটরিং প্রশ্নে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার (১১ মার্চ) বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল ও বিচারপতি কাজী ওয়ালিউল ইসলাম সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
রুলে চড়া সুদ নেয়া অনিয়মিত সুদের কারবারি প্রতিরোধে এবং অননুমোদিত প্রাইভেট আর্থিক প্রতিষ্ঠান, ক্ষুদ্র ঋণ প্রতিষ্ঠান, সমবায় সমিতি, দেশজুড়ে দাদন ব্যবসার নামে ব্যক্তি পর্যায়ে লাইসেন্স ছাড়া আর্থিক কর্মকান্ড পরিচালনাকারীদের মনিটরিং করতে মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটির চেয়ারম্যানকে দেয়া আবেদন নিষ্পত্তিতে নিষ্ক্রিয়তা বা ব্যর্থতা কেন বেআইনি হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
পাশাপাশি আগামী দুই মাসের মধ্যে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন অ্যাডভোকেট ফরহাদ উদ্দিন আহমেদ ভূঁইয়া। তিনি আরও বলেন, খুলনার সোনাডাঙ্গার বাসিন্দা সচিন্দ্র নাথ শীল দাদন ব্যবস্থা বন্ধসহ এ বিষয়ে রিটটি দায়ের করেন।
আরওপড়ুন<<>>‘রাজধানীর ৯৫ স্ট্যান্ডে দৈনিক দুই কোটি টাকা চাঁদা নিচ্ছে বিএনপি-পুলিশ’
রিটে অর্থসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, মাইক্রোক্রেডিট অথরিটির চেয়ারম্যান, পুলিশের মহাপরিদর্শক, খুলনা মহানগর পুলিশের কমিশনার, খুলনার জেলা প্রশাসক, সোনাডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সোনাডাঙ্গা থানার ওসিকে বিবাদী করা হয়েছে।
রিটে বলা হয়, রিটকারী সচিন্দ্র নাথ শীলের স্ত্রী ২০১৩-১৪ সালের দিকে এক ব্যক্তির কাছ থেকে দুই লাখ টাকা ঋণ নেন। প্রতি মাসে সে টাকার চড়া সুদ দিতে হতো। একপর্যায়ে সে সুদের কারবারিদের মামলার ফাঁদেও পড়েন। এ অবস্থায় ২০২৩ সালের ২ মে মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটির চেয়ারম্যান বরাবরে ‘বেআইনি চড়া সুদের ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে প্রতারণা ও হয়রানিমূলক মামলা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য আবেদন’দেন। কিন্তু সেটি নিষ্পত্তি না হওয়ায় হাইকোর্টেও দ্বারস্থ হন তিনি।
আপন দেশ/এমএস
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।