
ফাইল ছবি
সমালোচনার মুখে প্রসিকিউটর আফরোজ পারভিন সিলভিয়ার নিয়োগ বাতিল করেছে আইন মন্ত্রণালয়। শুক্রবার (২৮ মার্চ) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর এডমিন গাজী এম এইচ তামীম।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) জুলাই-আগস্টে সংঘটিত গণহত্যার বিচার প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হিসেবে আরও চারজনকে নিয়োগ দেয়া হয়।
তারা হলেন- আফরোজ পারভীন সিলভিয়া (সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল পদমর্যাদা), মো. মামুনুর রশীদ (সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল পদমর্যাদা), আব্দুস সাত্তার (সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল পদমর্যাদা), এস. এম তাসমিরুল ইসলাম (সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল পদমর্যাদা)।
এর আগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর হিসেবে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ তাজুল ইসলামকে এবং সুপ্রিম কোর্টের চারজন আইনজীবীকে প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সলিসিটর অনুবিভাগ গত বছরের ৫ সেপ্টেম্বর এ–সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে। এরপর আরও কয়েকজন আইনজীবীকে ট্রাইব্যুনালে মামলা পরিচালনার জন্য প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।
প্রসঙ্গত, একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে ২০১০ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠিত হয়। এ ট্রাইব্যুনালে ইতোমধ্যে একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে অনেকের বিচার ও সর্বোচ্চ শাস্তি কার্যকর হয়েছে। মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে থাকা মামলা ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন। এরপর এ আন্দোলনে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে করার ঘোষণা দেয়া হয়। ইতোমধ্যে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তার সরকারের বেশ কয়েকজন মন্ত্রী ও দলের নেতা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাসহ সদস্যদের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধে মামলা (মিস কেস) হয়েছে।
আপন দেশ/জেডআই
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।