
ফাইল ছবি
সুন্দরী মেয়েদের দিয়ে বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের প্রেমের ফাঁদে ফেলার অভিযোগে রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় দায়ের করা প্রতারণার মামলায় মডেল মেঘনা আলমকে গ্রেফতার দেখিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) সকালে তাকে আদালতে হাজির করা হয়।
এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মেঘনা আলমকে গ্রেফতার দেখানোর জন্য আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষে মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর তাকে গ্রেফতার দেখানোর পক্ষে শুনানি করেন। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম মিয়া তাকে গ্রেফতার দেখান।
এর আগে মডেল ও মিস আর্থ বাংলাদেশ বিজয়ী মেঘনা আলমের গ্রেফতার ঘিরে শুরু হয় আলোচনা। সৌদি রাষ্ট্রদূতের এক অনানুষ্ঠানিক অভিযোগকে কেন্দ্র করে মেঘনার আটক এবং এর পরবর্তী ঘটনাপ্রবাহ দেশজুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। রিমান্ডে বেরিয়ে এসেছে তার সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর তথ্য। ব্ল্যাকমেইল করে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করতেন মেঘনা আলম ও তার সহযোগীরা।
টার্গেট ব্যক্তিকে ব্ল্যাকমেইল করে টাকা আদায়ের মূল দায়িত্ব ছিলেন মেঘনা আলমের অন্যতম সহযোগী মানব পাচার চক্রের হোতা মো. দেওয়ান সমীর (৫৮)। এ চক্রের সর্বশেষ টার্গেট ছিলেন সৌদি আরবের সদ্য বিদায়ি রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ বিন ঈসা আল দুহাইলান। চক্রটি সৌদি রাষ্ট্রদূতের কাছে ৫ মিলিয়ন (৫০ লাখ) ডলার দাবি করেছিল।
এ ঘটনায় রাজধানীর ভাটারা থানায় হওয়া মামলায় গ্রেফতার দেওয়ান সমীর ৫ দিনের রিমান্ডে আছে। ডিএমপির ডিবি হেফাজতে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে তাকে। এছাড়া মেঘনা আলমকে আটকের পর পুলিশের আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত বিশেষ ক্ষমতা আইনে ৩০ দিনের আটকাদেশ দিয়েছেন। বর্তমানে তিনি কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি আছেন।
আপন দেশ/জেডআই
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।