
ফাইল ছবি।
নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনকে প্রচণ্ড ইসলাম বিদ্বেষী আখ্যা দিয়ে কমিশনের প্রধান শিরীন পারভিন হকসহ সংশ্লিষ্টদের বিচারের আওতায় আনতে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
রোববার (২৭ এপ্রিল) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী কাউসার উল জিহাদ মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর এ নোটিশ পাঠান। তিনি জানান, শরীয়াহ্ আইনে নারীদের যথাযথ অধিকার নিশ্চিত থাকার পরও কমিশন যে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, তা ইসলামবিদ্বেষী ও নারীদের প্রতি অসম্মানজনক।
নোটিশে বলা হয়, প্রতিবেদনে অত্যন্ত সুকৌশলে এবং ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ইসলামি আইন ও পারিবারিক বিধানকে হেয় এবং নারী বৈষম্যের হাতিয়ার হিসেবে দেখানো হয়েছে। এতে চূড়ান্তভাবে ইসলামকে অবমাননা করা হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, বিবাহের মত পারিবারিক পবিত্র বন্ধনকে হেয় এবং বাজেভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে প্রতিবেদনে। বিয়ের বাইরে যেকোন যৌন সম্পর্ককে পাপ হিসেবে দেখা হয় বলেই বিবাহের মত পবিত্র বন্ধনকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়েছে। একটি সুস্থ সমাজকে অসভ্য বর্বর করার জন্য এ থেকে আর অশ্রাব্য বক্তব্য আর হতে পারে না। সমাজ ব্যবস্থাকে ধ্বংস করার জন্য যাবতীয় যা করা প্রয়োজন সবই আছে এ প্রতিবেদনে।
আরওপড়ুন<<>>তাসনিম ও জাহাঙ্গীরকে দেয়া আইনি নোটিশ প্রত্যাহার
এছাড়া পতিতাবৃত্তিকে সামাজিক স্বীকৃতি এবং অপরাধ হিসেবে না দেখার মত ঘৃণ্য সুপারিশ করেছে নারী সংস্কার কমিশন। মূলত কমিশনের এ প্রতিবেদন পরিণত হয়েছে যৌনকর্মীদের তথা পতিতাদের আত্মকথা রূপে।
নোটিশে বলা হয়, জুলাই বিপ্লবের মহান উদ্দ্যেশ্যকে কলঙ্কিত করেছে এ প্রতিবেদন। জুলাই বিপ্লবে এদেশের মা–বোনদের, ছাত্রীদের ব্যাপক উপস্থিতি এবং ভূমিকা কিছুই আলোচনায় আনেনি এ কমিশন। কমিশনের এ প্রতিবেদন ও সুপারিশ বাতিল করতে হবে। পাশাপাশি শিরীন পারভিন হকসহ সংশ্লিষ্টদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। একই সঙ্গে কমিশন ভেঙে দিয়ে নতুন একটি ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক মূল্যবোধসম্মত নারী সংস্কার কমিশন গঠনের আহবান জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বছরের নভেম্বরে শিরীন পারভিন হককে প্রধান করে ১০ সদস্যের এই কমিশন গঠন করা হয়। গত ১৯ এপ্রিল, রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে কমিশনের চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়।
আপন দেশ/এমএইচ
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।