ফাইল ছবি
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপনের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় তারেক রহমানকে ৯ বছর ও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানকে ৩ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (২ আগস্ট) বিকেল ৪টায় এ রায় ঘোষণা করেন ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. আসাদুজ্জামান।
এর আগে চার মামলায় তারেক রহমানের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আরও একাধিক মামলা চলমান আছে। তবে, জুবাইদার বিরুদ্ধে এটি প্রথম ও একমাত্র মামলার রায় বলে জানিয়েছেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এই মামলায় ৫৬ সাক্ষীর মধ্যে ৪২ জনের সাক্ষ্য নিয়েছেন আদালত। মামলায় তারেক-জুবাইদার সর্বোচ্চ সাজা প্রত্যাশা করেন দুদকের বিশেষ পিপি মোশাররফ হোসেন কাজল।
আরও পড়ুন: বিকেলে বিএনপির সংবাদ সম্মেলন
তিনি বলেন, এখানে রাজনৈতিক কোনো উদ্দেশ্য নেই। প্রত্যেক নাগরিক আইনের কাছে সমান। পলাতক তারেক রহমান এ দেশের নাগরিক হিসেবে আইনের আওতায় এসেছেন। তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে মামলার সব অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আইনের ২৬(২) ধারায় সর্বোচ্চ শাস্তি তিন বছর ও ২৭(১) ধারায় সর্বোচ্চ শাস্তি ১০ বছরের কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে। তাদের দুজনের সর্বোচ্চ শাস্তি প্রত্যাশা করছি।
এ মামলায় গত ১৩ এপ্রিল লন্ডনে অবস্থারত এ দম্পতির বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।
২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে এ মামলা করা হয়। ওই সময় তারেক রহমান গ্রেফতার হন। পরে ২০০৮ সালে জামিনে মুক্তি পেয়ে সপরিবারে লন্ডনে চলে যান। এরপর আর দেশে ফেরেননি।
আপন দেশ/জেডআই/এমএমজেড
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।
