প্রতীকী ছবি
যেকোনো সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে উভয় পক্ষের সমান প্রচেষ্টা জরুরি। প্রেমে পড়ে একটা সময় যাকে ছাড়া বেঁচে থাকাই অসম্ভব মনে হতো, বাস্তবে তাকে ছাড়াই হয়তো আপনাকে বেঁচে থাকতে জানতে হবে। কারণ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মানুষ বদলে যেতে পারে। হয়তো এমন কোনো বাস্তবতা আপনার সামনে আসতে পারে, যে মধুর সেই সম্পর্ক তিক্ত হয়ে উঠেছে।
প্রেমে কেবল হাবুডুবু খেলেই হবে না, বরং বিপদ সংকেতগুলো জেনে রাখাও জরুরি। কোনো কোনো সংকেত দেখে বুঝবেন সম্পর্কে ফাটল ধরেছে। কিছু লক্ষণ হলো-
তার জীবনে আপনার গুরুত্ব নেই
এটি আপনি খুব সহজেই বুঝতে পারবেন। কেউ আপনাকে গুরুত্ব না দিলে তা মুখে না বললেও তার আচরণে প্রকাশ পেয়ে যাবে। যদি আপনার প্রতি তার আবেগ কিংবা আকর্ষণ অনুভব না করেন, যদি তার কোনো কিছুতে আপনার উপস্থিতি অগ্রাহ্য করে, তবে বুঝবেন, তার জীবনে আপনার অস্তিত্ব বিলীন হচ্ছে। এ ধরনের উপেক্ষা একটি সম্পর্ককে ভাঙনের দিকে নিয়ে যায়।
বোঝাপড়া নেই
দু’জনের মধ্যে মানসিক ঘনিষ্ঠতার অভাব থাকার মানে হলো- সেখানে যত্ন এবং স্নেহের কোনো জায়গা নেই। যদি সম্পর্কের মধ্যে কোনো স্ফুলিঙ্গ অবশিষ্ট না থাকে বা রোমান্টিক আগ্রহ ধীরে ধীরে হ্রাস পায়, তবে সম্পর্কটি দীর্ঘস্থায়ী নাও হতে পারে। তাই এদিকে নজর দিন।
একে-অপরকে বিশ্বাস না করলে
বিশ্বাস যেকোনো সম্পর্কের ভিত্তি তৈরি করে। সম্পর্কের প্রতি পারস্পরিক আস্থা, বিশ্বাসের অভাব সঙ্গীর থেকে মানসিক দূরত্ব তৈরি করে। বিশ্বাসের অভাব সন্দেহের জন্ম দেয় এবং ক্রমাগত আপনার সঙ্গীকে সন্দেহ করার ফলে বিশ্বাসের সমস্যা হয়। তাই পারস্পারিক বিশ্বাসের অভাব হলে সতর্ক হোন। সম্পর্কের জন্য এটি একটি বিপদ সংকেত।
আরও পড়ুন>> প্রেম না টাকা, কোনটির গুরত্ব বেশি
অসম্মান
অসম্মান একটি সম্পর্কের গতিশীলতা নষ্ট করে দেয়। যদি একে-অপরকে ছোট করে, আক্রমণাত্মক কথা চলতে থাকে তবে বুঝবেন, সেই সম্পর্ক টিকানো কঠিন হবে। আপনার সঙ্গীর কাছ থেকে ক্রমাগত অসম্মানমূলক আচরণ, গ্যাসলাইটিং চলতে থাকলে তা সম্পর্কের জন্য একটি বিপদ সংকেত।
ক্রমাগত আপনার সমালোচনা করে
একে-অপরের ত্রুটিগুলো গ্রহণ করার মানসিকতা না থাকলে রোমান্টিক সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। সঙ্গীর কাছ থেকে ক্রমাগত সমালোচনার মুখোমুখি হলে তা মানসিক চাপের কারণ হতে পারে। ফলে আপনি আত্মসম্মানবোধ হারিয়েও ফেলতে পারেন। যদি আপনার সঙ্গী ক্রমাগত আপনাকে তার মতো করে পরিবর্তন করার চেষ্টা করে, তবে এটি ইঙ্গিত দেয় যে, সে আপনাকে আর মূল্য দেয় না।
আপন দেশ/এসএমএ