ছবি: সংগৃহীত
প্রেমের জন্য পৃথিবী সুন্দর। মানুষ এমন প্রাণী যে প্রেমে বাঁচতে চায়। প্রেমে থাকতে চায়, প্রেম দিতে চায়। এমন কেন হয়? এ প্রশ্নের উত্তর পেতে বিস্তর গবেষণা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের নৃ-তত্ত্ববিদ হেলেন ফিশার ও তার দল প্রেম বা ভালোবাসায় সুখি মানুষদের ওপর গবেষণা চালিয়েছেন।
তিনি দেখিয়েছেন যে প্রেম বা ভালোবাসার ইচ্ছা জাগিয়ে তোলে মস্তিষ্কের ভেনট্রাল টেগমেন্টাল এরিয়া (ভিটিএ)-এর এ১০ নামের কোষ। ভিটিএ মস্তিষ্কের রিওয়ার্ড সিস্টেমের অংশ। এটি চাওয়া, প্রেরণা, ক্ষুধা, উত্তেজনা, ভালোবাসার আবেগ ইত্যাদির সঙ্গে সম্পর্কিত। ভিটিএ কোষের প্রভাবে রোমান্টিকতা মাদকের মতো আসক্তি তৈরি করে।
প্রেম অনেক বিষয় দিয়ে প্রভাবিত হয়ে থাকে বলে মত দিয়েছেন কিং কলেজ লন্ডনের অধ্যাপক ড. ডেনিশ ভুগরা। তিনি বলেন, প্রেমে সংস্কৃতি, সামাজিক মূল্যবোধের পাশাপাশি শারীরিক ও আবেগীয় আকর্ষণ ও প্রভাব ফেলে।
প্রেম ধীরে ধীরে আসক্তিতে পরিণত হয়। এ হলো দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্কের প্রাথমিক স্তর। এ আবেগ মূলত ঘটে অক্সিটোসিন ও ভ্যাসোপ্রেসিন নামের ক্যামিক্যালের কারণে।
মনোবিদদের মতে, প্রেমের সম্পর্ক স্থায়ী হয় একজন আরেকজনকে বোঝার ধৈর্য, আবেগীয় যোগাযোগের মাধ্যমে। কাম ও আকর্ষণ উভয়ই প্রেমের ক্ষেত্রে বাধাদায়ক। মোট কথা যার সঙ্গে আপনি শারীরিকভাবে যুক্ত তার সঙ্গে ভালোবাসার সম্পর্ক তৈরি হতেও পারে, আবার নাও হতে পারে।
সবকিছু বিবেচনায় প্রেমের একটি অন্ধকার দিকও আছে। প্রেমের সম্পর্ক ভেঙে গেলে মস্তিষ্ক থেকে করটিসল নামের হরমোন নিঃসৃত হয়। যা মানসিক চাপ সৃষ্টিকারী হরমোন। এ হরমোনের প্রভাবে শারীরিক কোনো ফ্র্যাকচার বা ভাঙনে শরীর যেমন কষ্ট অনুভব করে, মনও ঠিক একই ধরনের ব্যথা অনুভব করে। এ অনিশ্চয়তাটুকু থাকার কারণেই হয়তো প্রেম আরও বেশি সুন্দর।
তথ্যসূত্র: ফেমিনা
আপন দেশ/এসএমএ