ছবি: সংগৃহীত
ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা রমজান মাসে সারাদিন রোজা রেখে সংযম পালন করেন। রোজার সময় অন্যতম আকর্ষণ হলো ইফতার। ইফতারের পর শরীরে শক্তি ও কর্ম চঞ্চলতা বাড়ে। তবে ইফতার, পরবর্তী খাবার এবং কিছু অভ্যাস অনেক ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হয়। তাই এ সময় কিছু কাজ থেকে বিরত থাকা প্রয়োজন। ইফতার পরবর্তী সময় সচেতনতামূলক কিছু পরামর্শ দিয়েছেন ইব্রাহিম মেডিক্যাল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ডাক্তার খাদিজা।
ইফতারের সময় হালকা কিছু দিয়ে ইফতার করার পর পরিপূর্ণ খাবার গ্রহণ করাই উত্তম। এতে শরীর সুস্থ ও ভালো থাকে। খেজুর বা খুরমা বা পানি দিয়ে ইফতার শুরু করতে পারেন। এ সময় বেশি খেলে ক্লান্তিবোধ, বদহজম, গ্যাস, পেটে ব্যথাসহ বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে।
ইফতারের পরই অনেকেই চা পান করেন। আবার কেউ কেউ ধূমপান করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। এ দুই অভ্যাসই ইফতারের পর স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়াতে পারে। চায়ের টনিক এসিড খাদ্যনালীর স্বাভাবিক পিএইচকে পরিবর্তন ঘটিয়ে হজমে সমস্যা করে। আর ইফতারের পর ধূমপান করলে ধমনীতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়, যা পর্যাপ্ত অক্সিজেন পরিবহনে বাধার সৃষ্টি করে মৃত্যু পর্যন্ত ঘটাতে পারে।
আরও পড়ুন>> রোজায় পানিশূন্যতা এড়াতে যা করবেন
ইফতারের পরেই গোসল স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। এতে শরীরের রক্ত সঞ্চালনের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। যা পাকস্থলীর সরবরাহকৃত রক্তের পরিমাণ কমিয়ে হজমে সমস্যা সৃষ্টি করে। ইফতারের পরেই অনেকেরই শোয়ার অভ্যাস রয়েছে। কেউ কেউ তো ক্লান্তিতে ঘুমিয়েও পড়েন। এতে খাবার সঠিকভাবে হজম হয় না। পরিপাকে ব্যাঘাত ঘটে।
রোজায় সকালের দিকে যোগব্যায়াম বা ফ্রি-হ্যান্ড এক্সারসাইজ করতে পারেন। তবে ইফতারের আগে-পরে ব্যায়াম করা একেবারেই উচিত নয়। যাদের হাঁটার অভ্যাস রয়েছে তারা বিকেলে না হেঁটে সকালে কিছুক্ষণ হাঁটতে পারেন।
রোগীরা বেশি পরিশ্রমের ব্যায়াম করবেন না ইফতারের পর হালকা ব্যায়াম করা যেতে পারেন। তবে জিমের বেশি পরিশ্রমের ব্যায়াম আপনাকে আরও ক্লান্ত করে দেবে। এছাড়া ইফতারের পর ধূমপানের কারণে ধমনীতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হতে পারে। এতে পর্যাপ্ত অক্সিজেন পরিবহনে বাধার সৃষ্টি হয়ে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
আপন দেশ/এসএমএ