ফাইল ছবি
রোজায় সারাদিন না খাওয়ার ফলে লালা প্রবাহ কমে যায় মুখে। এতে নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ বা হ্যালিটোসিস হতে পারে। আমাদের মুখের ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি কমাতে লালা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। মুখ শুষ্ক হয়ে পড়ার কারণে বিব্রতকর দুর্গন্ধ সৃষ্টি হওয়ার ঝুঁকি থাকে রোজায়। রোজা রাখার সময় শ্বাস ও মুখকে সতেজ রাখতে কী করবেন জেনে নিন।
দিনে দুবার দাঁত ব্রাশ করুন
ইফতার এবং সেহরির পরে ফ্লোরাইড টুথপেস্ট দিয়ে ২ থেকে ৩ মিনিটের জন্য দাঁত ব্রাশ করুন। এতে খাবারের কণা এবং ব্যাকটেরিয়া দূর হবে।
ইন্টারডেন্টাল এইড ব্যবহার করুন
ফ্লস এবং ইন্টারডেন্টাল ব্রাশের মতো ইন্টারডেন্টাল এইড দিয়ে প্রতিদিন দাঁত পরিষ্কার করুন। এই সরঞ্জামগুলো মাড়ির রোগ হওয়ার ঝুঁকি কমিয়ে দেয়।
জিহ্বা পরিষ্কার করুন
মুখের ব্যাকটেরিয়া অপসারণের জন্য নিয়মিত জিহ্বা পরিষ্কার করুন।
কিছু খাবার এড়িয়ে চলুন
নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ রোধ করতে রোজা ভাঙার সময় পেঁয়াজ, রসুন এবং মসলাজাতীয় খাবার থেকে দূরে থাকুন। এগুলো মুখে অপ্রীতিকর গন্ধের কারণ হতে পারে। এগুলোর বদলে তরমুজ এবং শসার মতো পানির পরিমাণ বেশি এমন খাবার খান।
পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করুন
ইফতার থেকে সাহরি পর্যন্ত হাইড্রেটেড থাকার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন। এই সময়ের মধ্যে কমপক্ষে ৮-১০ গ্লাস পানি পান করবেন। মুখ হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে পানি। ইফতারের সময় পানি সমৃদ্ধ ফল এবং শাকসবজিও খেতে পারেন।
আরও পড়ুন <> বাড়তি কেনাকাটার নেশা কাটানোর উপায়
ক্যাফেইন এবং চিনিযুক্ত পানীয় পরিমিত খান
ডিহাইড্রেশন এড়াতে কফি এবং চায়ের মতো ক্যাফিনযুক্ত পানীয় থেকে দূরে থাকা ভালো। চিনিযুক্ত পানীয় মুখের ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি বাড়ায় এবং নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ সৃষ্টি করে। এর বদলে ভেষজ চা খেতে পারেন।
দাঁত ব্রাশ করার জন্য অপেক্ষা করুন
রোজা ভাঙার পর দাঁত ব্রাশ করার আগে ৩০ থেকে ৬০ মিনিট অপেক্ষা করা ভালো। এটি মুখের লালাকে প্রাকৃতিকভাবে যেকোনো খাবারের কণা পরিষ্কার করার জন্য যথেষ্ট সময় দেয় এবং মুখকে তার স্বাভাবিক পিএইচ স্তরে ফিরে যেতে দেয়।
মাউথওয়াশ ব্যবহার করুন
মাউথওয়াশ ব্যবহার করলে ব্যাকটেরিয়া দূর হয়। ফলে নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ হয় না।
লবণ পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন
লবণ পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেললে সতেজ থাকে মুখ। এই প্রক্রিয়া প্রদাহ কমাতে এবং ব্যাকটেরিয়া মেরে ফেলতে সাহায্য করে। উষ্ণ পানিতে এক চা চামচ লবণ মিশিয়ে কুলকুচা করুন।
ধূমপান এড়িয়ে চলুন
ধূমপান শুধুমাত্র নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ সৃষ্টি করে না, পাশাপাশি মাড়ির রোগ এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যার ঝুঁকিও বাড়িয়ে তোলে। তাই রোজা ভেঙেই সিগারেট খাবেন না। বরং চেষ্টা করুন রোজার সময় ধীরে ধীরে ধূমপানের বদভ্যাস বাদ দিয়ে দিতে।
আপন দেশ/এমআর